ঢাবিতে রোজার মাসের আলোচনা সভায় হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

ঢাবিতে রোজার মাসের আলোচনা সভায় হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উক্ত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোতাহের ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা হামলার প্রতিবাদে কালো ব্যাজ পরে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‍‍`ঢাবি প্রশাসন কি মেরুদন্ডহীন‍‍`, ‍‍`আইন কোথায়‍‍`, ‍‍`ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক‍‍`, ‍‍`ক্যাম্পাসে প্রক্টরের কাজ কি‍‍` লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায় । এরপর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।

মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের যে ছেলেদের মারা হয়েছে তাদেরকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মারা হয়েছে। এই রাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন না। যাকে মারবে সে শিবির। যেকোন অন্যায় করলে তাকে দেওয়া হয় শিবির ট্যাগ। আমি খবর নিয়েছি তারা কোন ধরণের রাজনীতির সাথেই জড়িত নয়। তাদেরকে শিবির করার কারণে মারা হয় নাই। তাদেরকে মারা হয়েছে ইসলামী ধর্মচর্চা করার জন্য। বাংলাদেশের মুসলমানরা নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে মার খাবে এটার জন্যই কী আমরা বাংলাদেশে স্বাধীন করেছিলাম?’

এসময় তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যারা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আছে তাদের সবাই আইন বিভাগের ছাত্র। আমি তোমাদের কাছে শিক্ষক হিসেবে আপিল করছি। তোমরা কি মনে করো নিরীহ ছেলেদেরকে ইসলামী মাহফিল করার জন্য বহিরাগত ছাত্রলীগের গুন্ডারা এসে তাদেরকে রক্তাক্ত করার অধিকার রাখে। তাদের রক্তাক্ত চেহারা দেখে তোমাদের মনে কোনকিছুর উদ্রেক হয় না? তোমাদের কাছে আমি আপিল করলাম এই গুন্ডাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করো।’

আসিফ নজরুল আরো বলেন, ‘আমরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই বহিরাগত ছেলেরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের মেরে যায় আপনাদের কি কোন দায়দায়িত্ব নেই। আজকে যারা সংবিধান পড়ছে ছাত্রলীগের গুন্ডারা তাদের কাছে কি বার্তা দিচ্ছে?’

মানববন্ধনে হামলার শিকার হওয়া আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিদ হাসান সাফওয়ান বলেন, ‘আমাদের এই প্রোগ্রামে হামলা হবে আমরা ভাবতেও পারিনি। বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস বলে আমরা যেটাকে মনে করি সেখানে বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতারা এসে আমিসহ আমার সহপাঠিদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করে। আমরা জানি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যারা আছেন তারা আমাদের বিভাগের। তাদের বিভাগের শিক্ষার্থী হয়েও যদি এভাবে নেক্কারজনক হামলার শিকার হতে হয় আর তারা তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের প্রদক্ষেপ না নেয় তাহলে আমরা কীভাবে তাদেরকে সিনিয়র ভাই মনে করব?’ হামলকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানান সাফওয়ান। 

Link copied!