সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই: তদন্ত কর্মকর্তা

সালমান ইবনে সাঈদ শাওন, ঢাবি প্রতিনিধি

জুন ২০, ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম

সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই: তদন্ত কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকান্ডের পেছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।’  

দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) তদন্ত অফিসার আক্তার মোর্শেদ।

এ প্রসঙ্গে সাম্য হত্যা মামলার তদন্ত অফিসার আক্তার মোর্শেদের সঙ্গে কথা বলে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ। এসময় আক্তার মোর্শেদ বলেন, “এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত মোট ১১ জন আসামি আছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শী এবং আসামিদের মধ্যে ৩ জনের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা আছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার সময় যে ছুরি ও ট্রিগার গান ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করা আছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে একজনের জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা আছে।”

ঘটনার মোটিভ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মারামারির মোটিভের ক্ষেত্রে আমরা ৩ টা বিষয়কে মাথায় রেখে এগোচ্ছি। এক, অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়; দুই, প্রভাব বিস্তার সংক্রান্ত বিষয়; তিন, প্রেম সংক্রান্ত বিষয়।”

সাম্যকে একটা স্ট্যাব করা হয়েছিল মাজার নিচে এবং সে স্ট্যাবেই তিনি মারা গেছেন জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, “ডাক্তারের রিপোর্টটা সংগ্রহ করছি, পর্যলোচনাও করছি। আসামিদের বাড়িও এক এক জেলায় এক স্থানে। আর তাছাড়া তদন্ত রিপোর্টটা এখনো পাইনি। এগুলো পেলে আমরা পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করার জন্য প্রস্তুত আছি।”

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এ হত্যাকান্ড হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমাদের এমনটা মনে হচ্ছে না। এমন কোন কিছু পাওয়া যায়নি।”

পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কত দিনের মধ্যে আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যত শিগগির সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি। যেহেতু এই মামলার কোন সময়সীমা নাই সেহেতু যত শিগগির সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করার। তবে কোন নির্ধারিত সময় আমরা বলতে পারছি না। যদি অন্য কোন ঝামেলা না হয় তাহলে খুব শিগগিরই পারবো।”

গত ১৩ মে রাত বারোটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরছিলেন। তখন অজ্ঞাত ১০-১২ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে সাম্যর মোটর সাইকেলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পরবর্তীতে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। একজন আসামি সাম্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ডান পায়ের উরুর পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করে। সাম্য মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Link copied!