রাবির আবাসিক হলে রাজনীতি নিষিদ্ধ

জাতীয় ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম

রাবির আবাসিক হলে রাজনীতি নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশসহ সাতটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যালয়ের সব হলের প্রাধ্যক্ষ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।  

এর আগে, শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে প্রাধ্যক্ষ ও সমন্বয়কদের এক আলোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আহ্বানে প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও সমন্বয়কদের মধ্যে আলোচনা সভা হয়। সভায় দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের স্বপদে থেকে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়। সংকটকালীন এই সময়ে প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকরা পদত্যাগ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যাহত, হলগুলোতে নৈরাজ্য সৃষ্টি, আবাসিক সমস্যা বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে সংকট সৃষ্টির পাশাপাশি হলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন উভয় পক্ষ।”

প্রাধ্যক্ষ ও সমন্বয়কারীদের অন্য পাঁচটি সিদ্ধান্ত হল

১. এখন থেকে শুধুমাত্র বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন।

২. হলের মধ্যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক মিছিল, মিটিং, শো-ডাউন করা যাবে না।

৩. হলে কোনও ধরনের রাজনৈতিক ব্লক থাকবে না। পরবর্তী আসন বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্লকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এবং চিহ্নিত কক্ষগুলো সিলগালা করা থাকবে।

৪. হলে আবাসনের নিয়ম ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ যে কোনও রাজনৈতিক পরিচয়ে হলে আবাসন কিংবা কোনও ধরনের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যাবে না।

৫. হলের কক্ষে বা করিডোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ কোনও ধরনের ক্ষমতার পরিচয় প্রকাশ করে এমন কোনও লেখা, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট ইত্যাদি প্রদর্শন করা যাবে না।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, “শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং পরবর্তী প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রথম দাবি থাকবে, ছাত্র সংসদ চালু করে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা।”

Link copied!