চুয়েট হলে শিক্ষকের মদপানের অভিযোগ

জাতীয় ডেস্ক

জুন ৫, ২০২৪, ১১:০১ এএম

চুয়েট হলে শিক্ষকের মদপানের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শহীদ তারেক হুদা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মানের বিরুদ্ধে মদপানের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় রুম্মানের স্ত্রী ও চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) এ ঘটনা তদন্তে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৪টার দিকে শহীদ তারেক হুদা হলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার চুয়েটের ৪৯তম ব্যাচের (শিক্ষাবর্ষ ২০১৮-১৯) শিক্ষা সমাপনী উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় বাস্কেটবল মাঠে কনসার্ট আয়োজন করা হয়। কনসার্ট চলাকালীন রাতে প্রভাষক রুম্মান রাত ৪টার দিকে শহীদ তারেক হুদা হলে মদপান করতে যান। এর কিছু সময় পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে মদ পানরত অবস্থায় স্বামীকে দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ও উপস্থিত সবাইকে বকাঝকা করেন। একপর্যায়ে তিনি হলের নিচে নেমে কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জান্নাতুলকে শান্ত করেন ও ওই শিক্ষককে ধরাধরি করে শিক্ষক ডরমিটরিতে পৌঁছে দেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধরকে সভাপতি ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অফিস আদেশে বলা হয়। অফিস আদেশে আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার সত্যতা নিরূপণের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে সুপারিশ করার জন্য বলা হয়।

ড. সুনীল ধর বলেন, “তদন্ত কতদিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে এ বিষয় সম্পর্কে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে হবে।”

এ বিষয়ে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরি বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

Link copied!