চায়ের দাওয়াতে ছাত্রীকে শাড়ি পরে যেতে বলতেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

জাতীয় ডেস্ক

মার্চ ৬, ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম

চায়ের দাওয়াতে ছাত্রীকে শাড়ি পরে যেতে বলতেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষার্থীকে মেসেজ দিয়ে মধ্যরাতে চায়ের নিমন্ত্রণ করতেন সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহা। অঙ্ক বোঝানোর নামে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকতেন এবং শাড়ি পরে দেখা করতে বলতেন। কিন্তু সেসব অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই শিক্ষক তার কোর্সে নম্বর কমিয়ে দিতেন ও থিসিস পেপার (অভিসন্দর্ভ) আটকে দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করতেন। চলতি সপ্তাহের রোববার মধ্যরাতে চায়ের নিমন্ত্রণসহ একাধিক অনৈতিক প্রস্তাবের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষকের এমন কাণ্ডে ফুঁসে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন।

একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার সাজন সাহার ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবো। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো, তাদের শিক্ষার পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’

উল্লেখ্য, এর আগে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগে শিক্ষক রায়হান শরীফের চাকরিচ্যুতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলেজটির ক্যাম্পাস।

Link copied!