সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধিসহ পাঁচ দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক আটকে তাদের বিক্ষোভ শুরু হয়।
বয়সসীমা বাড়ানো ছাড়াও তারা নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ, নিয়োগ পরীক্ষার (বিসিএস প্রিলিমিনারি ও রিটেন) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা, এবং একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থার দাবি জানায়।
বয়সসীমা বাড়ানো ছাড়াও তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো-
১. নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে।
২. নিয়োগ পরীক্ষার (বিসিএস প্রিলিমিনারি ও রিটেন) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
৩. চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে।
৪. একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
অবরোধে অংশগ্রহণ করা আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতিনিধি এসে আলোচনা করে সন্তোষজনক কোনো সিদ্ধান্ত না দিলে সারাদিন আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
আন্দোলনের মুখে দুপুর ১২টার দিকে রমনা থানার এডিসি আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা করেন। আলোচনার এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে চলে যেতে বলে। কিন্তু আন্দোলনকারী সরেননি। এর ১০মিনিট পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারা বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে পরে আবার নীলক্ষেত মোড়ে আসলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স ম কাইয়ুম বলেন, “করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ মানতে তাদেরকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে চলে যাওয়ার জন্য দুই দফা সময় দেয়া হয়েছিলো কিন্তু তারপরও তারা না যাওয়ায় জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য আমরা একশন নিতে বাধ্য হয়েছি।“
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। এই সীমা বাড়ানোর দাবি বেশ কয়েক বছর ধরেই রয়েছে, যদিও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। মহামারির মধ্যে নিয়োগ বন্ধ থাকা সহ শিক্ষাসূচিতে জট শুরু হওয়ায় এ দাবি আরও জোরদার হয়।