জুন ১৫, ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মেঘ-রোদের লুকোচুরির এক স্নিগ্ধ সকালে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে ছড়িয়ে পড়ল বর্ষার প্রথম দিনের উদ্দীপনা। ঢাকার চারুকলার বকুলতলায় সুর, ছন্দ, কাব্য আর আলো-আঁধারির মেলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘বর্ষা উৎসব’। আষাঢ়ের আগমনে উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রোববার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় এই ঐতিহ্যবাহী বর্ষাবরণ অনুষ্ঠান।
সেতারে বর্ষার শুরু, গান-কথনে বর্ষা বন্দনা
শিল্পী সোহানী মজুমদারের সেতারে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। সুরের প্রবাহে বর্ষার প্রথম সকাল যেন আরও মোহময় হয়ে ওঠে। এরপর বর্ষা কথন পর্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
সুরে সুরে বর্ষার ছোঁয়া
মূল সাংগীতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পীরা—ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকে। তাদের কণ্ঠে বর্ষার গান মুগ্ধ করে দর্শক-শ্রোতাদের।
নৃত্য-আবৃত্তিতে বর্ষার রূপমাধুরী
আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ আরও অনেকে। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।
সবুজের বার্তা: চার বিতরণে বর্ষা বন্দনা
পরিবেশবান্ধব বার্তা ছড়িয়ে দিতে আয়োজনে ছিল একটি বিশেষ পর্ব—শিশু-কিশোরদের মাঝে প্রতীকীভাবে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়, যেন এই বর্ষায় ধরিত্রী আরও সবুজ হয়ে ওঠে।