বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ কমে গেছে। বেলা ১১টার পর বিশেষ করে রাজধানীতে রোদ উঠতে শুরু করেছে। রাজধানীতে এতটা কুয়াশা এই প্রথম। খবর প্রথম আলো।
আবহাওয়াবিদেরা অবশ্য বলছেন, শীতে এমন কুয়াশা পড়তেই পারে। আর এটা সবে শুরু। সময় যত বাড়বে, কুয়াশার পরিমাণও বাড়তে থাকবে। আজ সকালের কুয়াশার দাপট অনেকটা কমে এলেও আগামীকাল শুক্রবারও কুয়াশা থাকতে পারে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীত বাড়তে শুরু করেছে গত দুই দিন হলো। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আজ রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এক দিনের মধ্যে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেছে। আর গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁর বদলগাছীতে, ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ প্রথম আলোকে বলেন, কুয়াশার যে প্রকোপ আজ রাজধানীতে দেখছি, এটা আরও কয়েক দিন চলতে পারে। কয়েক দিন ধরে দেশের উত্তরের জনপদগুলোয় কুয়াশা ছিল। সেটা বিস্তৃত হয়ে ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে।’
এখন শীত যেভাবে পড়েছে, তা আরও কয়েক দিন টানা একই রকম থাকতে পারে বলে জানান ওমর ফারুক। তিনি বলেন, উত্তরের হাওয়া দেশে শীত বহন করে নিয়ে আসে। এই যে কুয়াশার চাদর, দেশের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এটা দীর্ঘ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতের দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ হয়ে বিহার ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ধরে কুয়াশার এই দীর্ঘ বলয়। শীতে এমনটাই থাকে। দিন যত বাড়বে, কুয়াশার পরিমাণ তত বাড়তে পারে। কুয়াশার সঙ্গে বায়ুদূষণের একটি সম্পর্ক আছে। আন্তসীমান্ত দূষণের সঙ্গে আমাদের স্থানীয় উৎসগুলো মিলিয়ে দূষণ বাড়িতে তোলে।’