ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) করপোরেশনের গ্রীন রোড, পান্থপথ, দক্ষিণ বনশ্রী, নাসির উদ্দিন সরদার লেন, কলতাবাজার, উত্তর যাত্রাবাড়ী, মধ্য নান্দীপাড়া, বড় পাড়া, উত্তর মান্দা, মুগদা, পূর্ব বক্স নগর, ডেমরা, পারা ডগাইর, রায়েরবাগ ও কদমতলী এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীন রোড ও পান্থপথ এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ৫৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের নাসিম উদ্দিন সরদার লেন ও কলতাবাজার এলাকায় ৫৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৫২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য নন্দীপাড়া এলাকায় ৬৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় পাড়া, উত্তর মান্ডা ও মুগদা এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বক্স নগর ও ডেমরা এলাকায় ৪৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শামসুল আরেফিন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের পারা ডগাইর এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের রায়েরবাগ ও কদমতলী এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
অভিযানে সর্বমোট ৪৬৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১০টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০ মামলায় সর্বমোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।