হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদাই হচ্ছেন আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) তালেবান পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
তালেবান শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা হবেন আফগানিস্তানের সুপ্রীম লিডার এবং সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন তার অধীনে থাকা একজন প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী। তালেবান ইতোমধ্যে সরকার গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে করেছে। যেকোনো সময় সরকারের সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
তালেবান কালচারাল কমিশনের সদস্য আনামুল্লাহ সামানগানি জানান, ‘হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা যে আফগানিস্তান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নেতা হবেন এবিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকার অবকাশ নেই‘।
সরকার গঠন প্রসঙ্গে সামানগানি বলেন, ‘সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সলাপরামর্শ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে’। তিনি আফগানিস্তানের ইসলামি মডেলে মডেলে গঠিত হতে যাওয়া সরকার মানুষের জন্য আদর্শ একটি সরকার হতে যাচ্ছে’।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানে ইরান মডেলের সরকার গঠিত হতে পারে। ইরানেরও একজন প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রীসভা থাকলেও দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাই দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব।
তবে গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বিভিন্ন সময়ে সংগঠনটির বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীদের দেখা মিললেও সুপ্রিম লিডার হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা এখনও আসেননি জনসমক্ষে।
তালেবানের এই সুপ্রিম লিডারে অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করলেও কেউই তার সন্ধান দিতে পারেনি। কয়েকদিন আগে তালেবানের এক সিনিয়র নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা শিগগিরই জনসম্মুখে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
তালেবানের উপ-মুখপাত্র বিলাল কারিমি হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার উপস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি যে তিনি কান্দাহারে রয়েছেন। শিগগিরই তিনি জনসম্মুখে আসবেন‘।