দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবথেকে বড় খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব: ডব্লিউএফপি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৫, ২০২২, ০৯:২১ পিএম

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবথেকে বড় খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব: ডব্লিউএফপি

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা-ডব্লিউএফপি এর প্রধান ডেভিড বেসলে বলেছেন, অনাহারে মারা যাচ্ছেন ইউক্রেনের মারিউপুল শহরের বাসিন্দারা। তিনি আশংকা করেছেন, সামনের দিনগুলোতে রুশ হামলা বাড়ার আশংকা থাকায় এই শহরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ডেভিড বলেছেন, শস্য রপ্তানীকারক দেশ ইউক্রেনের উপর রুশ হামলার কারণে ইউক্রেন এমন একটা অবস্থায় পৌছেবে যেখান থেকে অর্থনীতি পূনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাবে। যার ফলশ্রুতিতে দেশটি থেকে অধিকসংখ্যাক লোক অন্যদেশগুলো জীবিকার জন্য পাড়ি জমাবে। ইউক্রেনের এ অবস্থার কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট তৈরি হবে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে বিশ্বকে নিয়ে যেতে পারে।

সমগ্র বিশ্বের মোট গমের ৩০ শতাংশ সরবরাহ হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। বিশ্বের চারভাগের তিনভাগ সূর্যমুখী তেল রপ্তানী করে এই দুই দেশই।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সমগ্র বিশ্বে বিতরণের জন্য যে খাদ্যশস্য কেনে তার অর্ধেকেই আসে ইউক্রেন থেকে। বেসলে বলেন, যুদ্ধের কারণে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ইউক্রেন থেকে জাহাজে ওঠানো যাচ্ছে না। সার এবং বিজ পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের। এ অবস্থার জন্য ডব্লিউএফপি বিশ্বে খাদ্য সহায়তা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনে রাজধানী কিয়েভসহ কয়েকটি এলাকার অবস্থা দেখতে সেখানে যান বেসলে। সেখানকার অবস্থা ভুতুড়ে বলে জানিয়েছেন ডেভিড।  

  

অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধের কারণে অসহায় হয়ে পড়া এসব লোকদের জন্য সাহায্য করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়াটা হতাশাজনক। জাতিসংঘসহ অন্যান্য কয়েকটি সংস্থাকে মারিউপুলে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। রুশ সৈন্যরা এই বাধাগুলো দিচ্ছে। মারিউপুল শহরে আটকা পড়া প্রায় ১ লাখ বেসামরিক নাগরিকের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌছানো অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা রুশ হামলার কারণে চরম খাদ্য সংকটের সাথে পানি ও বিদ্যুতের সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। 

Link copied!