করোনাভাইরাসের নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এ ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছেন বি.১.১.৫২৯। দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং ও বতসোয়ানাসহ কয়েকটি দেশে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনার নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি বারবার রূপ বদল করতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এ ভ্যারিয়েন্টের রূপ বদল করার ক্ষমতা আগের সকল ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টার ফর এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড ইনোভেশনের পরিচালক টুলিও ডি অলিভেরিয়া বলেন, তিনি এই ভেরিয়েন্ট নিয়ে ভীত ছিলেন। এরপর গত সপ্তাহে তিনি এ নিয়ে ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ডব্লিউএইচও এ নিয়ে জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি ধারণা করছেন, দেশটির জোহানেসবার্গসহ গৌতেং এলাকায় নতুন যেসব করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে, তার ৯০ শতাংশ এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন যে ভেরিয়েন্টই শনাক্ত হচ্ছে সেটারই সংক্রমণ ক্ষমতা ডেলটা ভেরিয়েন্টের চেয়ে বেশি। ফলে করোনার মহামারি ইতি টানার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে এসব ভেরিয়েন্ট। এ প্রসঙ্গে ডি অলিভেরিয়া বলেন, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখন হলো, এই ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কাজ করে কি না।
শুক্রবার ভ্যারিয়েন্টটির নামকরণ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। শুক্রবার টেকনিক্যাল মিটিংয়ে নামকরণের পাশাপাশি এটি ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ না ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ তালিকায় স্থান পাবে তাও জানানো হবে।