‘কর্পোরেট ট্যাক্স’ আদায়ে সম্মত হয়েছে বিশ্বের প্রধান ২০ টি অর্থনীতির দেশ-প্রতিষ্ঠানের জোট জি-২০। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আনা এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অন্তত ১৫ শতাংশ ‘করপোরেট ট্যাক্স’ আদায়ের বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের নেতারা। ফলে পৃথিবীর সব দেশে বড় বড় কোম্পানিগুলো ন্যূনতম ১৫ শতাংশ কর দিতে বাধ্য হবে।
৩০ অক্টোবর শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে কর্পোরেট ট্যাক্সের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড মহামারি বিষয়ক আলোচনাও প্রাধান্য পেয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করারোপের এ প্রস্তাব আনেন। জোট নেতারা এই প্রস্তাবে সম্মত হলেও তা এখনো খসড়া আকারে রয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২৩ সাল থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে পারে।
করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন করপোরেট করারোপের এ সিদ্ধান্তকে জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং এসবের কর্মীরা এতে উপকৃত হবেন। যদিও এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বড় বড় কোম্পানিগুলোর কিছুটা বেশি কর দেওয়া লাগতে পারে’।
জি-২০ সম্মেলনে জলবায়ু বিষয়ক একটি ঘোষণাও আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে খসড় এই ঘোষণা।
জি-২০ সম্মেলনের পরই যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন বিশ্বনেতারা। এ কারণে চলমান জি-২০ সম্মেলনকে জলবায়ু ইস্যুতেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
জি-২০ নেতাদের এবারের খসড়ায় অন্তত ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। এ অর্থ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্যবহার করার কথা। যদিও ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন। সশরীরে অংশ নেননি জাপানের প্রধানমন্ত্রীও। এছাড়া সব দেশের নেতারা ইতালির রোমে উপস্থিত ছিলেন।