শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে। লন্ডভন্ড হয়েছে কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে টর্নেডোটি আঘাত হানে।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার এ টর্নেডোকে কেনটাকির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি বলেন, “আশঙ্কা করছি হচ্ছে, ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। সংখ্যাটা ৭০ থেকে ১০০ হতে পারে। এটি বিধ্বংসী ছিল।”
গভর্নর বলেন, “টর্নেডোর আঘাতে মেফিল্ড শহরের একটি মোমবাতি কারখানার ছাদ ধসে পড়েছে। এতেই বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে মধ্যরাতের আগেই রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তিনি।”
কেবল কেন্টাকিই নয়, যুক্তরাজ্যের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ঝড়ের কবলে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইলিনয়, আরকানসাস ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি এলাকায়। এসব স্থানেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কেনটাকিতে টর্নেডো আঘাত হানার আগে গতকালই ইলিনয়ের কলিন্সভিল শহরে শক্তিশালী এক ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের একটি গুদাম। সেখানে প্রায় ১০০ কর্মী আটকা পড়েন। তবে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে, ঝড়ের কবলে পড়ে আরকানসাসে ১ জন নিহত হয়েছে। টেনেসিতে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।