দেশের করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কতোটা কঠোর তা আবারও মনে করিয়ে দিলেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা না নিয়ে কেউ জনসমক্ষে চলাফেরা করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
বৃহস্পতিবারই দেশটিতে গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার টেলিভেশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ওই কঠোর ঘোষণা দেন।
দুতার্তে বলেন, টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে স্থানীয় নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনকি তারা যেন ঘর থেকে বের না হতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে নেতাদের।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আদেশ অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হয়ে চলাফেরা করলে তাকে নিষেধ করা হবে। কিন্তু না শুনলে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য গ্রেপ্তার করবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’
হয় টিকা নেন, অথবা কারাগারে যান: দুতার্তে |
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বরের পর দেশটিতে সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ২২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তা ছাড়া করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে দেশটিতে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে।
গত মঙ্গলবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার প্রায় তিন গুণ করোনা শনাক্ত হয়েছে ফিলিপাইনে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২০ লাখ ৮৮ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫১ হাজার ৭০০ জনের।
গত বছরের শেষ নাগাদ ফিলিপাইনের প্রায় ৫ কোটি মানুষকে পূর্ণ ডোজ টিকা দেওয়া হয়। ১১ কোটি মানুষের দেশটিতে টিকা প্রয়োগের হার ৪৫ শতাংশ। দেশটির বর্তমান আইন অনুযায়ী রাজধানী ম্যানিলায় টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা শুধু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার জন্য ঘরের বাইরে বের হতে পারবে।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত ফিলিপাইনে ৪৩ জন দেশি-বিদেশি নাগরিকের শরীরে অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে অমিক্রনের সংক্রমণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
সূত্র: রয়টার্স