মে ১২, ২০২২, ০৭:২৩ পিএম
ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরডিক অঞ্চলের দেশ ফিনল্যান্ড। দেশটির প্রেসিডেন্ট শুলি নিওনিস এবং প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন-দুইজনই ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিষয়টির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় ৮শ মাইলের সীমান্ত রয়েছে ফিনল্যান্ডের। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশটির মার্কিন আধিপত্য থাকা সামরিক জোট ন্যাটোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার।
১২ মে বৃহস্পতিবার সকালে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ জানান, ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হলে এটা ন্যাটোর জন্য সুখবর। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সুইডেনও ন্যাটোর সদস্য হতে চাচ্ছে। তবে ন্যাটোভুক্ত হতে উত্তর ইউরোপের এ দেশ দুটির ইচ্ছা রুশ নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরুপ বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তর ক্রেমলিন।
এতোদিন ফিনল্যান্ডে নাগরিকরা চাইতো না; তাদের দেশ ন্যাটোর সদস্য হয়ে যুদ্ধে জড়াক। তবে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। যুদ্ধের আগে যেখানে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ন্যাটোর সদস্যভুক্তি চাইতো, এখন সেই হার ৭৬ শতাংশে পৌছেছে। সুইডেনের ৫৭ শতাংশ নাগরিক চায় ন্যাটোতে যোগ দিতে। তারা মনে করে, রাশিয়াসহ অন্য যেকোন দেশের হামলা থেকে সুরক্ষায় ন্যাটোর সদস্যভুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারণ ন্যাটোর ‘৫ অনুচ্ছেদে’ বলা আছে, ন্যাটোর কোন সদস্যের ওপর হামলার অর্থ ন্যাটোর সব সদস্যের ওপর হামলা।
এর আগে ১৯৩৯ সালে ফিনল্যান্ডে আগ্রাসন চালায় সোভিয়েতরা। সেবার ফিনল্যান্ড প্রায় ৩ মাস সোভিয়েত সৈন্যদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও নিজ ভূখন্ডের ১০ শতাংশের দখল হারায়।
মূলত ইউক্রেনসহ কয়েকটি দেশ ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকেই ওই অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি এই ইস্যুতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে মস্কো। হামলার পর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রত্যাহার করে কিয়েভ। তবে হামলা অব্যাহত রাখে রাশিয়া।