বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বের কয়েকটি বড় তেল কোম্পানির প্রধানরা। তারা বলেছেন, ‘তেল খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাবে তেলের সরবরাহ কমে যেতে পারে এবং তার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়বে।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানি রয়্যাল ডাচ শেল এবং টোটাল এনার্জি এবং অন্যান্যরা ভবিষ্যৎ বাণী করছে যে, অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে অস্থিতিশীল বাজার পরবর্তীতে আবার নিচে নেমে আসতে পারে।
এক্সন মবিল কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যারেন উডস কাতার অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে মঙ্গলবার (২২ জুন) বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাবে তেলের সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে এবং তাতেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়বে এবং পরবর্তীতে আবার সেটি ঠিক হয়ে যেতে পারে। তবে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
ট্রেডিং হাউস ট্রাফিগুরাড গ্রুপ বলছে, আগামী বছর নাগাদ তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি একশ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ব্যাংক অব আমেরিকা কর্পোরেশনও চলতি সপ্তাহে পূর্বাভাস দিয়েছে যে, তেলের দাম ওই পর্যায়ে যেতে পারে। একই কথা বলেছে গোল্ডম্যান সাচ গ্রুপ।
চলতি বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারী এবং টিকাদান কর্মসূচির কারণে তেলের দাম শতকরা ৪৪ ভাগ বেড়েছে।
গতকাল নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় ২.৫৫ মিনিটে বেঞ্চমার্ক বেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি করেছে ৭৪.৯০ ডলারে।
করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে গত বছর আন্তর্জাতিক তেলের বাজার ইতিহাসের সবচেয়ে অস্থিতিশীলতার মধ্যদিয়ে পার করেছে। তবে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে আবার কর্ম তৎপরতা বাড়ছে এবং অর্থনীতি সচল হচ্ছে। ফলে তেলের ব্যবহার বাড়ছে তবে সেই পরিমাণে সরবরাহ না দিতে পারলে তেলের দাম অনিবার্যভাবেই বাড়বে।
সূত্র: পার্সটুডে।