যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভয়াবহ দাবানল দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাত থেকে এই রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে এরই মধ্য পুড়ে গেছে দেড় হাজার একর বনভূমি।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি এমনিতেই ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিনই দেশটিতে দুই লাখের বেশি লোক সংক্রমিত হচ্ছেন। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে সৃষ্টি হওয়া দাবানলের খবর মার্কিনদের আরও চিন্তা ও শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবানলে প্রাণহানির আশঙ্কায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মন্টেরে কাউন্টির চার শতাধিক বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে সেখানকার অন্তত ১১’শ স্থাপনা। আগুনের ভয়াবহতা বিবেচনায় মহাসড়ক বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে কয়েক’শ কর্মী কাজ করছে। তবে শুষ্ক বাতাসের প্রভাবে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। এদিকে, দমকা হাওয়ার প্রভাবে ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
প্রসঙ্গত, গত বছরের একেবারে শেষেও দাবানলে কলোরাডো প্রদেশের বহু ঘরবাড়ি পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ছয় শতাধিক ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আগে থেকে এলাকা খালি করে দেওয়ায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। রাতারাতি প্রায় কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই এলাকা ছাড়েন এলাকার বাসিন্দারা। দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ডেনভার ও বোল্ডার কাউন্টির মধ্যবর্তী দুই শহর লুইভিল ও সুপিরিয়রের।
গত বছরের শেষ দিকে দাবানলে ছারখার হয়েছিল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া সংলগ্ন বিস্তৃত অঞ্চল। কেন বারবার এভাবে দাবানলের প্রকোপ লক্ষ করা যাচ্ছে? এর জন্য গ্লোবাল ওয়ার্মিংকেই দায়ী করছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ধাক্কায় আবহাওয়ার যে পরিবর্তন সৃষ্টি হয়েছে তারই ফলশ্রুতি এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়- এমনটাই তারা মনে করছেন।