ঘণ্টায় ৩৫০ কিমি গতিতে সমুদ্রের ওপর ছুটছে বুলেট ট্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ১, ২০২৩, ১২:২০ এএম

ঘণ্টায় ৩৫০ কিমি গতিতে সমুদ্রের ওপর ছুটছে বুলেট ট্রেন

সংগৃহীত ছবি

বিশ্বজুড়ে চীন খ্যাতি পেয়েছে দ্রুতগতির ট্রেনের জন্য। দেশটির যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এই দ্রুতগতির যোগাযোগব্যবস্থা। এবার চীনে চালু হয়েছে এমন একটি দ্রুতগতির ট্রেন, যেটি সমুদ্রের ওপর নির্মিত রেললাইনে ছুটে চলে।

ঝাংঝোউ, জিয়ামেন ও ফুজহোউ শহরকে যুক্ত করা এই ট্রেন চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফুজিয়ান প্রদেশের উপকূলে চলছে। ২৭৭ কিলোমিটার বা প্রায় ১৭২ মাইল দীর্ঘ রেললাইন যুক্ত করেছে এই  রেলপথ। এই পথে চলাচলকারী ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার বা প্রায় ২১৭ মাইল।

এই রেলপথে ৮৪টি সেতু ও ২৯টি টানেল রয়েছে। সেই সাথে সমুদ্রের ওপরে ২০ কিলোমিটার বা প্রায় ১২ মাইল রেলপথ বানানো হয়েছে।

চীনে এটাই প্রথম সমুদ্রের ওপর দিয়ে ছুটে চলা বুলেট ট্রেন।  গত বৃহস্পতিবার এ পথে প্রথম দ্রুতগতির ট্রেন চালু হয়েছে। ওই দিন সকালে প্রাদেশিক রাজধানী ফুজহোউ শহর থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

২০১৬ সালে এই রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। সমুদ্রের ওপরে লাইন নির্মাণে পরিবেশবান্ধব ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চায়না রেলওয়ে। সেই সাথে এ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বুদ্ধিমান রোবট।

‘এইট হোরাইজন্টাল অ্যান্ড এইট ভার্টিক্যাল’ প্রকল্পের আওতায় এই রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ফুজিয়ান প্রদেশের পর্বত-সমুদ্রবেষ্টিত ভূপ্রকৃতি এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।

তাইওয়ানের সাথে চীনের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষায় ফুজিয়ান প্রদেশ কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ান প্রণালি পেরিয়ে মাত্র আড়াই মাইল দূরে জিয়ামেন শহরের অবস্থান। চীন বরাবর তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অংশ মনে করে। এটা নিয়ে চীনের সাথে তাইওয়ান ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ রয়েছে।

সিনহুয়ার তথ্য বলছে, চলতি মাসের শুরুতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে তাইওয়ান ও ফুজিয়ানের মধ্যে আরও ভালো সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

Link copied!