ঈদুল আজহার প্রথম দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪২ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ৭, ২০২৫, ১১:৪২ এএম

ঈদুল আজহার প্রথম দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪২ জন নিহত

ইসলামের অন্যতম পবিত্র উৎসব ঈদুল আজহার প্রথম দিনে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা চিকিৎসা সূত্র।

এই প্রাণঘাতী হামলায় ব্যাপক আক্রমণ ও ভারী আর্টিলারির ব্যবহার করা হয়েছে গাজা অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে, যা ইতিমধ্যেই চলমান মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একাধিক বিমান আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে, যেখানে বেসামরিক বাসিন্দাদের আবাসস্থল লক্ষ্যবস্তু ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন আর বিস্ফোরণের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। আল-সরায়া আটককেন্দ্রের আশপাশে একটি শিশুকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং আগের এক হামলার কারণে আহত এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

খান ইউনিসের পশ্চিমে, একটি আশ্রয়কেন্দ্র লক্ষ্য করে ড্রোন হামলায় চারজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন।

রাফায়, যেখানে সাহায্য বিতরণের কেন্দ্রটি অবস্থিত এবং যেটি ইসরায়েলের বারবার হামলার শিকার হয়েছে, আরও চারজন নিহত হয়েছেন।

উত্তর গাজার জাবালিয়ায় বাসস্থানের ওপর বোমাবর্ষণে নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহতদের আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গাজার আল-তুফাহ এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছে এবং জাবালিয়া শহরে বিমান হামলাও চালানো হয়েছে, যা বসতি এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

বিগত কয়েক মাস ধরে চলমান এই হামলার মধ্যেও অনেক ফিলিস্তিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষের মাঝে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের পর গাজায় চতুর্থবারের মতো ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে এবার। এই অভিযান প্রায় ৫৪,৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল, যাদের অধিকাংশই নারী শিশু।

আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দার জন্য দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, যারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলছে।

বিশ্বব্যাপী অস্ত্রবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল তার সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখছে, যা গাজার নিরীহ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

Link copied!