লেবাননের বালবেকের কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নিরলস হামলায় লেবাননে এ পর্যন্ত ২৭১০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২৭ জন শিশু। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৫৯২ জন। খবর আল-জাজিরার।
এখনো লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সৈন্যরা বাঙ্কার-বাস্টিং বোমা দিয়ে হামলা চালাচ্ছে। এগুলো খুব গভীর পর্যন্ত পৌছাতে পারে এমনকি সুড়ঙ্গেও আঘাত হানতে সক্ষম। এ ধরনের বোমা একটি ভবনকে পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারে।
গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত লড়াই চলছে। এতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এছাড়া লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে তারা হামাসের সমর্থনে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তা থামাবে না। দুটি সংগঠনই ইরান সমর্থিত।
সম্প্রতি গাজা থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে নজর ফেরানোর কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল সরকার। এরপর যোগাযোগযন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ভিত নাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। ওই ঘটনাকে হিজবুল্লাহর ওপর বড় ধরনের হামলার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
এরই মধ্যে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গোটা লেবাননে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সবচেয়ে বেশি হামলা হয় হিজবুল্লাহ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলে। এর মধ্যে একদিনের হামলাতেই নিহত হয়েছেন ৪৯২ জন।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর পাল্টাপাল্টি হামলার জের ধরে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।