ভারত সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার, লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে গতি আনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১২:১৯ পিএম

ভারত সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার, লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে গতি আনা

ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বুধবার দুই দিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন, যেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন ব্যবসা, সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতের এক শতাধিক প্রতিনিধি—সম্প্রতি স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে নতুন গতি আনতে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের দুদিনের ভারত সফর বুধবার (৮ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দিল্লি-লন্ডনের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে নতুন গতি আনবে এই সফর। এখানে স্টারমারের সঙ্গে আছেন ব্যবসা, সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতের শতাধিক প্রতিনিধি।

গত জুলাইয়ে ভারত সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেন স্টারমার, যার মাধ্যমে টেক্সটাইল থেকে হুইস্কি ও গাড়ির ওপর শুল্ক হ্রাস এবং পরস্পরের বাজারে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়।

তিন বছরের অগোছালো আলোচনার পর মে মাসে চুক্তির সব ধাপ সম্পন্ন হয়—যেখানে উভয় পক্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব এড়িয়ে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছাতে সচেষ্ট ছিল।

বিশ্বের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির এই দুই দেশের মধ্যে নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও ৩৪ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, এই পূর্বাভাসই কেবল নয়—চুক্তিটি আরও বিস্তৃত সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। স্টারমারের সফরে তেল কোম্পানি বিপি, ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রোলস-রয়েস, ও টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটি’র মতো বড় করপোরেট প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া রয়েছেন, মদ প্রস্তুতকারক ডিয়াজিও ও স্কচ হুইস্কি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও। নতুন চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের হুইস্কি কোম্পানিগুলোর জন্য ভারতের শুল্ক হার ধাপে ধাপে ১৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে প্রথমে ৭৫ শতাংশ, পরে ৪০ শতাংশে নামানো হবে। পুরো বিষয়টি ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

স্টারমার বলেছেন, এটি শুধু একটি কাগুজে চুক্তি নয়, বরং প্রবৃদ্ধির জন্য একটি নতুন সূচনা। তিনি আরও যোগ করেন, ভারত ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে যাচ্ছে। আমাদের সামনে থাকা সুযোগগুলো অসাধারণ।

স্টারমার বৃহস্পতিবার মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। উভয় দেশ আগামী এক বছরের মধ্যে চুক্তিটি কার্যকর করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন স্টারমার সরকারের মূল অগ্রাধিকার—বিশেষত নভেম্বরের বাজেট ঘোষণার আগে, যেখানে কঠিন আর্থিক বাস্তবতা উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সাল থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে তৃতীয় ফ্লাইট চালু করবে। ম্যানচেস্টার বিমানবন্দর থেকেও ইন্ডিগো পরিচালিত নতুন দিল্লি রুট চালুর ঘোষণা এসেছে।

Link copied!