ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে নিজের শরীরে আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম

ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে নিজের শরীরে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় ইসরায়েলি কনস্যুলেটের বাইরে এক বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে নিজের শরীরে আগুন দিয়েছেন।

বাধা দিতে গেলে এক নিরাপত্তাকর্মীকে তিনি আহত করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ( ১ ডিসেম্বর ) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কনস্যুলেট ভবনের সামনে এসে দাঁড়ান সেই প্রতিবাদকারী। ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করা সেই ব্যক্তি নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে দেন। তাঁকে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন একজন নিরাপত্তাকর্মী।

আটলান্টার পুলিশপ্রধান ড্যারিন শিয়েরবাউম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফিলিস্তিনপন্থী এই বিক্ষোভকারীর অবস্থা বেশ গুরুতর। নিরাপত্তারক্ষীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কিছু বলা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘ভবনটি নিরাপদ আছে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এখানে আর কোনো হুমকি দেখতে পাচ্ছি না। আমরা বিশ্বাস করি, এটা (আত্মহননের চেষ্টা) ছিল রাজনৈতিক প্রতিবাদের এক চরম মাত্রার কর্মকাণ্ড।’

আটলান্টায় ইসরায়েলের কনস্যুলেট যে ভবনে অবস্থিত, সেখানে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এফবিআইয়ের আটলান্টা অফিস বলেছে, এ ঘটনার তদন্তে তারা স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছে। ওয়াশিংটনে কনস্যুলেট এবং ইসরায়েলি দূতাবাস অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে গার্ডিয়ানের করা মন্তব্যের অনুরোধের কোনো জবাব দেয়নি।

শনিবার ( ২ ডিসেম্বর ) রাত থেকে রবিবার ( ৩ ডিসেম্বর ) পর্যন্ত গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও রাফাহ লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া, গাজা উপত্যকার নুসিরাত শরণার্থীশিবিরের একাধিক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় শিশু, নারীসহ অন্তত ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। গাজার উত্তরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১০টি মৃতদেহ।

শুক্রবার ( ১ ডিসেম্বর ) যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় বেড়েছে ইসরায়েলি হামলা। গাজার উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এমনকি শরণার্থী শিবির-সব জায়গায় চলছে নির্বিচারে গণহত্যা। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৫ হাজার।

Link copied!