অক্টোবর ১৪, ২০২৩, ০৭:২১ পিএম
সিএনএন দাবি করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা রিপোর্ট দিয়ে হামাসের হামলা নিয়ে সতর্ক করেছিল। জানিয়েছিল সীমান্তের ওপার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে তারা।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন শীঘ্রই সংঘাতে জড়াতে পারে। জো বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা। গত শনিবার, ৬ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামলা করে হামাস। সেই হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে এই সতর্কতা জারি করেছিল তারা। এমনটাই বলছে একটি রিপোর্ট।
সিএনএন দাবি করেছে, সেপ্টেম্বরের শেষে, অক্টোবরের শুরুতে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা রিপোর্ট দিয়ে হামাসের হামলা নিয়ে সতর্ক করেছিল। জানিয়েছিল সীমান্তের ওপার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে তারা। হামলার ঠিক এক দিন আগে তারা ইসরায়েল থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে আবারও জানিয়েছিল, হামাসের কার্যকলাপে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তা থেকে স্পষ্ট, তারা হামলা চালাতে পারে।
৬ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে হাজারে হাজারে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে শুরু করে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। জল, আকাশ, স্থল পথে চলে হামলা। সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পণবন্দি করে নাগরিকদের। হামলায় ইসরায়েলের ১,৩০০ জন নাগরিক মারা গিয়েছেন। আহত আরও কয়েক হাজার।
সিএনএন যদিও জানিয়েছে, হামাসের হামলা যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে, তা আন্দাজ করতে পারেনি আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা। তাদেরই একটি সূত্র জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। তবে গুপ্তচর সংস্থা এ সব নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল কি না, জানা যায়নি।
এমনিতে ইসরায়েল, গাজা নিয়ে নিয়মিত গোপন তথ্য সংগ্রহ করে শীর্ষনেতাদের জানায় আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা। গত কয়েক বছর ধরেই এই কাজ করে আসছে তারা। আমেরিকা সেই তথ্য পাঠায় ইসরায়েলকেও।
তবে এই তথ্যগুলিকে কতটা গুরুত্ব দেয় আমেরিকা বা ইসরায়েল, এখন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। আরবও গাজা এবং হামাসের বিষয়ে নিয়মিত তথ্য দিয়ে সাহায্য করে আমেরিকাকে। আরবের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে বার বার তাঁরা আমেরিকা এবং ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন।
জানিয়েছেন, ‘ফিলিস্তিনির ক্রোধ’ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্রোধ হিংসার জন্ম দিতে পারে। যদিও তাঁদের সতর্কতায় দুই দেশ কান দেয়নি।
এ বার গাজ়া থেকে হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যস্থির করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে অভিযান। সেই সাথে চলছে লাগাতার বিমান হানা। পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১,৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৬০০ শিশু।