আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ ভাঙার খবর যেভাবে এসেছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ধানমন্ডি ৩২ ভাঙার খবর যেভাবে এসেছে

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

বুধবার রাতে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণ দেওয়ার খবর প্রচারিত হলে, একে ইস্যু করে বাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করা হয়। ধানমন্ডি ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেন তারা। এছাড়া সারা দেশে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা নাম সম্বলিত বিভিন্ন স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের বাড়ি-ঘড় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে এই খবর-

এপি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপি আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করল বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তার পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করল হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা। বাড়িটি একসময় দেশটির স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হতো। কিন্তু এখন আন্দোলনকারীরা মনে করছে, বাড়িটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরশাসনের প্রতিচ্ছবি।

এএফপি

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ‘বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের হাসিনার বাবার বাড়ি ভাঙার চেষ্টা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশি আন্দোলনকারীরা এক্সকেভেটর নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বাবার বাড়ির সামনে অবস্থান করছে। তারা ভবনটি ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে। হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ঘৃণার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।

বিবিসি

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বাড়িতে প্রতিবাদকারীদের আগুন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতিবাদকারীরা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক বাড়ি এবং তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ভারত থেকে হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অস্থিরতা শুরু হয়। ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা ২০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন। তাকে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি সরকারে থাকাকালে জনসাধারণের বাকস্বাধীনতা হরণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

রয়টার্স

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার বাড়িতে আগুন দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। কারণ তার মেয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আনাদুলু এজেন্সি

তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির প্রতিবেদনের শিরোনাম হলো ‘বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভারত থেকে সরাসরি ভাষণের বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ’।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ভাষণ দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়, যা জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। 

সিএনএন

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের ওয়েবসাইটে ‘নির্বাসিত সাবেক নেতা শেখ হাসিনার পরিবারিক বাড়ি ধ্বংস করেছে বাংলাদেশের প্রতিবাদকারীরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেও। তারা বার্তা সংস্থা এপি বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এনডিটিভি

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির শিরোনামে বলা হয়, ‘মজিবুর রহমানের ঢাকার বাড়ি ভাঙচুর, বাংলাদেশি জনতার আগুন’।

হিন্দুস্তান টাইমস

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পাকিস্তান যা করেনি, সেটাও করে দিল এরা! বাংলাদেশের ইউনুসদের উপরে ফুঁসছেন হাসিনা।’

দ্য গার্ডিয়ান

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানও এ ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের খবরের শিরোনাম হলো ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের বাড়ি ও একসময়ের স্বাধীনতার প্রতীক ধ্বংস করল আন্দোলনকারীরা।’ এপির বরাতে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

Link copied!