বাঘের খাঁচায় মানুষের মরদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ৭, ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম

বাঘের খাঁচায় মানুষের মরদেহ  উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে একটি চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচা পরিষ্কারের সময় মানুষের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিত্য নৈমিত্তিক কাজের অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাঘের খাঁচায় গেলে তিনি বাঘের আক্রমণে মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পান। চিড়িয়াখানাটি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ( ৭ ডিসেম্বর ) বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই দিন সকালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী তিনটি বাঘের মধ্যে একটির মুখে মানুষের জুতা দেখতে পাওয়ার পর মরদেহটি পাওয়া যায়।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এ ঘটনা কীভাবে ঘটলো, তা নিয়েই রয়েছে রহস্য। কারণ, খাঁচা থেকে বাঘগুলো বের হয়নি এবং সেখানে কেউ নিজে থেকে না ঢুকলে এমন ঘটনা ঘটাও সম্ভব নয় বলে ।

বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর ) সকালে পাঞ্জাবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাহাওয়ালপুর শেরবাগ চিড়িয়াখানায় মৃতদেহটি পাওয়া গেছে। সেখানে তিনটি বাঘের মধ্যে একটির মুখে জুতা দেখতে পেয়েছেন সেখানকার কর্মীরা।চিড়িয়াখানাটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে প্রদেশের বন্যপ্রাণী বিভাগ।

সেখানকার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলী উসমান বুখারি এএফপিকে বলেছেন, মৃতদেহের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু লোকটি কীভাবে বাঘের খাঁচায় প্রবেশ করেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য চিড়িয়াখানাটি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

বুখারি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে বাঘের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সময় তিনি জীবিত ছিলেন বলে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ব্যক্তিকে আক্রমণের জন্য বাঘ খাঁচার বাইরে যায়নি। সেই ব্যক্তিই লাফিয়ে সেখানে ঢুকেছিল।

তিনি বলেন, “নিরাপত্তাজনিত ঘাটতিটা কোথায় তা খুঁজে বের করা হবে। প্রয়োজনে আমরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করব।”

নিহতের পরিচয় এখনো জানা যায়নি এবং তার পরিবারের কেউ এখনো লাশ দাবি করতে আসেনি।

বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর ) মৃতদেহ আবিষ্কৃত হওয়ার পর চিড়িয়াখানার বাইরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন জ্যেষ্ঠ স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা জহির আনোয়ার। তিনি জানান, চিড়িয়াখানার সব কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “এখনো পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে, মৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। কোনো স্বাভাবিক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বাঘের খাঁচায় লাফিয়ে পড়বে না। আপনারা দেখেছেন, খাঁচাটি সুরক্ষিত। এর বাইরে সিঁড়ি আছে। সম্ভবত সেখানে উঠেই লাফ দিয়েছিল সেই ব্যক্তি।”

মরদেহটি খুঁজে পাওয়ার সময় খাঁচায় তিনটি বাঘই ছিল। প্রমাণাদি সংগ্রহের সময় বাঘগুলোকে এক কোনায় আটকে রাখা হয়।

১৯৪২ সালে চিড়িয়াখানাটি নির্মাণ করেছিল বাহাওয়ালপুরের তৎকালীন রাজপরিবার। পাকিস্তানের চিড়িয়াখানাগুলোর অবস্থা খুব বেশি ভালো নয় এবং প্রায়ই সেসবের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার ব্যাপারগুলো উপেক্ষা করার অভিযোগ ওঠে।

Link copied!