ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
“শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও বাংলাদেশের বরাদ্দে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি” বলে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২০ কোটি রুপি। চলতি অর্থবছরেও একই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রেখেছিল ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর।
ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিদেশি সহায়তা খাতে দেশটি বরাদ্দ রেখেছে ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি রুপি, চলতি অর্থবছরে যার পরিমাণ ৫ হাজার ৮০৬ কোটি রুপি ছিল।
শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সংসদে (লোকসভা) জাতীয় বাজেট পেশ করেন। দেশটির অর্থবছর শুরু হয় ১ এপ্রিল থেকে। শেষ হয় ৩১ মার্চ।
২০২৪ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদী সরকারের এটা প্রথম বাজেট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তা খাতে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে নয়া দিল্লি। নতুন অর্থবছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ হাজার ৫১৬ কোটি রুপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ জন্য বরাদ্দের পরিমাণ আরও বেশি রেখেছিল ভারত। সেবার ঢাকার জন্য তাদের বরাদ্দ ছিল ১৩৭ কোটি রুপি।
ভারত এবারও সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রেখেছে নেপালের জন্য। জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, অর্থনৈতিক ‘সহযোগিতা’ ও নানা অবকাঠামো নির্মাণে দেশটিকে ২ হাজার ১৫০ কোটি রুপি দেবে মোদী সরকার। চলতি অর্থবছরে দিয়েছে দুই হাজার ৬৮ কোটি রুপি।
বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টায় থাকা মালদ্বীপের জন্যও। আগামী অর্থবছর দেশটির জন্য বরাদ্দ ১৩০ কোটি বাড়িয়ে ৬০০ কোটি রুপি করা হয়েছে।
বরাদ্দ কমেছে আফগানিস্তানের জন্য। ২০০ কোটি থেকে দেশটির বরাদ্দ নামিয়ে আনা হয়েছে ১০০ কোটি রুপিতে। দুই বছর আগে দেশটির জন্য বরাদ্দ ছিল ২০৭ কোটি রুপি।
‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ বলছে, তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারত বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মিয়ানমারের বরাদ্দও কমিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বরাদ্দ ৫০ কোটি কমিয়ে ৩৫০ কোটি রুপি করার তথ্য দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা শ্রীলংকার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০০ কোটি রুপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ‘আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টায়’ আফ্রিকায় বরাদ্দ ২৫ কোটি বাড়ানো হয়েছে। আগামী অর্থবছরে ওই অঞ্চলের দেশগুলোয় ২২৫ কোটি রুপি খরচ করবে ভারত।
এর বাইরে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর বরাদ্দ ৯০ কোটি থেকে কমিয়ে ৬০ কোটি রুপি নির্ধারণ করেছে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়।