মে ৭, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান বলেছে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের আওতায় তাদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। দেশটি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং বেসামরিক প্রাণহানির প্রতিশোধ নিতে ‘নিজস্ব সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে’ ভারতের হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার তারা রাখে।
একইসঙ্গে ভারতের হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে একে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ অ্যাখ্যা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পূর্ণ অনুমোদন’ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) এক বৈঠকের পর এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে বুধবার পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়ক এ শীর্ষ কমিটির বৈঠকে দেশটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফসের চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামসাদ মির্জা, গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মহাপরিচালক আসিম মুনির ও বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ডন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক নাগরিক, বিশেষ করে নিরীহ নারী ও শিশুদের লক্ষ্য করে যে হামলা চালিয়েছে তা একটি ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক অপরাধ, এটি মানব আচরণের সমস্ত নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক আইনের বিধান লঙ্ঘন করেছে।”
বিবৃতিতে পাকিস্তান ভারতের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। পাকিস্তান আরও তারা দেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় ভারতের যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে ‘দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ’ গড়ে তুলেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এখন তা পাল্টাপাল্টি হামলায় রূপ নিয়েছে। পেহেলগামে হামলার ১৫ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার মধ্য রাতের পর পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। দেশটি এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।