যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে ইসরায়েলি হামলা, গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৪,৮৫৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৪:২০ এএম

যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে ইসরায়েলি হামলা, গাজায় নিহতের সংখ্যা  ১৪,৮৫৪

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ঘনিয়ে আসলেও ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনী এখনো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় গাজায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮৫৪ জনে। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজারের বেশি শিশু। 

শুক্রবার ( ২৪ নভেম্বর ) সকাল ৭টা থেকে  গাজায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা। তবে সেই সময় শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি থাকলেও গাজাজুড়ে চলছে ব্যাপক ইসরায়েলি হামলা। নির্বিচার ইসরায়েলি এসব হামলায় অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে বেসামরিক প্রাণহানি ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইজ্জুদ্দিন আর-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছিল—গাজার স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার ( ২৩ নভেম্বর ) আল-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, চার দিনের এই যুদ্ধবিরতিতে আল-ক্বাসাম ব্রিগেড ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই অস্ত্র সংবরণ করবে।

আল-ক্বাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলের ১৯ বছরের কম বয়সী বন্দী, নারী ও এবং শিশুদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যেক ইসরায়েলির জন্য নারী ও শিশুসহ তিনজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া, প্রতিদিন ২০০ ট্রাক চিকিৎসা ও ৪ ট্রাক জ্বালানি ও রান্নার গ্যাস আনা হবে গাজায়।

গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ১৫০ জন শিশু এবং ৪০০০ জন নারী। এ ছাড়া আহত হয়েছে  অন্তত ৩৬ হাজার। 

নিহতদের তালিকায় ৭ হাজার জনকে গণনা করা হয়নি। এই ৭ হাজার জনেই সবাই এখনো নিখোঁজ আর না হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। এদের মধ্যে আবার ৪ হাজার ৭০০ জনই শিশু।  

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন,‘এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলের সশস্ত্রবাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুই মাস তীব্র লড়াই চালিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনে প্রথম যে বিষয়টি আপনার দেখবেন তা হলো—জিম্মিদের মুক্তি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ নেই। এটি কেবলই সাময়িক বিরতি।’

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনাকারী ইউনিটের উদ্দেশে দেওয়া ওই ভাষণে গ্যালান্ত বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতির সময়ে নিজেরা আবারও সুসংগঠিত হন, বোঝাপড়া তৈরি করুন, অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হন এবং হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই অভিযান চলতে থাকবে। কারণ আমাদের জয় ছিনিয়ে আনতে হবে এবং বাকি জিম্মিদের মুক্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ তাদের কেবল (হামাসের ওপর) চাপ প্রয়োগের মাধ্যমেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’

 

Link copied!