যেসব গণমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিৎ: ট্রাম্প

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

যেসব গণমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিৎ: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

গণমাধ্যমের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়—এমনটা বললেও কম বলা হবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত একের পর এক গণমাধ্যম, কর্মী, প্রচারিত সংবাদ ও অনুষ্ঠান এবং সংবাদ নেটওয়ার্কের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দিয়েছে ওই রিপাবলিকান নেতার।

এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সম্প্রতি তিনি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি।

রক্ষণশীল ইনফ্লুয়েন্সার চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে এবিসি নিউজের সঞ্চালক জিমি কিমেল তার লেট নাইট শোতে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন (এফসিসি) প্রধান ব্রেন্ডান কার কিমেলের ওই মন্তব্যের জেরে এবিসি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।

ওই হুমকির পর জনপ্রিয় সঞ্চালক জিমি কিমেলের অনুষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এবিসি নেটওয়ার্ক।

‘কিমেল অসুস্থতার চূড়ান্ত নিদর্শন দেখিয়েছেন,’ দাবি করে ব্রেন্ডান কার মত দেন, ডিজনির মালিকানাধীন এবিসি নেটওয়ার্কের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘কার্যধারা বদলাতে হবে এবং সংস্কার করতে হবে। না হলে এফসিসির জন্য বাড়তি দায়িত্বের বোঝা বাড়বে।’

ওই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প মত দেন, কয়েকটি গণমাধ্যমের লাইসেন্স ‘কেড়ে নেওয়া’ উচিৎ। 

ট্রাম্প এ বিষয়টি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় তিনি যুক্তরাজ্য সফর শেষে নিজ দেশে ফিরছিলেন।

এয়ার ফোর্স ওয়ান জেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কয়েকটি জায়গায় পড়েছি, কিছু (সংবাদ) নেটওয়ার্কের ৯৭ শতাংশ আমার বিরোধিতা করে। ৯৭ শতাংশই আমাকে নেতিবাচকভাবে দেখে। তারপরও আমি খুব সহজেই (মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে) জিতেছি। (গত বছরের নির্বাচনে) সাত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই (আমি জিতেছি)।’

‘তারা শুধু আমাকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালায়। তাদের (এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণার) লাইসেন্স আছে। কিন্তু আমার মত হলো, হয়তো ক্ষেত্রবিশেষে তাদের সেই লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া উচিৎ,’ যোগ করেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রেন্ডান কার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমরা জনস্বার্থে এ ধরনের সংবাদমাধ্যমকে জবাবদিহির আওতায় আনার কাজ অব্যাহত রাখব। এই সহজ সমাধান তাদের পছন্দ না হলে তারা তাদের লাইসেন্স এফসিসির কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে।’

এবিসি ও অন্যান্য ছোট-বড় গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে এফসিসি।

তবে ফক্স বা এমএসএনবিসির মতো ক্যাবল চ্যানেলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার এখতিয়ার নেই এফসিসির। 

তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাজনৈতিক মতভেদের কারণে গণমাধ্যমের লাইসেন্স বাতিল করতে পারে না এফসিসি।

মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে ‘বাকস্বাধীনতা’ নিশ্চিতের বিষয়ে যে বক্তব্য আছে, তা এ ধরনের উদ্যোগকে প্রতিহত করে।

Link copied!