সুমুদ ফ্লোটিলা

গাজার পথে আর মাত্র একটি নৌকা, অধিকারকর্মীদের আটকের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম

গাজার পথে আর মাত্র একটি নৌকা, অধিকারকর্মীদের আটকের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা

ছবি: সংগৃহীত

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি নৌকায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হস্তক্ষেপের পর উত্তেজনা বেড়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যে ৩৯টি নৌকা আটক করেছে এবং এর ফলে শত শত অ্যাক্টিভিস্ট ও সাহায্যকর্মী আটক হয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, মাত্র একটি নৌকা এখন গাজা অভিমুখে রয়েছে।

লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, মোট ৩৯টি নৌকা আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে অন্য সূত্রগুলো ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করেছে, যেখানে ১৩ থেকে ১৯টি পর্যন্ত নৌকা আটকের খবর রয়েছে।

আটককৃতদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ৩৭টি দেশের প্রায় ২০০ জনেরও বেশি অধিকারকর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আটককৃতদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সেখানে তাদের দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। এর আগেও গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে আটক হন গ্রেটা থুনবার্গ।

লাইভ ট্র্যাকার অনুসারে, বর্তমানে মাত্র ৪টি জাহাজ এখনও সাগরে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে, ‘মিকেনো’ নামক একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে এবং উপকূল থেকে কয়েক মাইল দূরে রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্য দুটি জাহাজ আইনি সহায়তার জন্য সাইপ্রাসের দিকে যাচ্ছে এবং একটি মিশরের উপকূলে রয়েছে।

ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, আটক সত্ত্বেও তাদের ৩০টি নৌযান এখনও গাজার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বহরটিকে ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলা’ আখ্যা দিয়ে দাবি করেছে যে, এর একমাত্র উদ্দেশ্য উসকানি দেওয়া, ত্রাণ দেওয়া নয়। তারা বলেছে, সব যাত্রীকে নিরাপদে আটক করা হয়েছে এবং তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে। ইসরায়েল এই এলাকায় নৌ-অবরোধের বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ফ্লোটিলার আয়োজকরা আন্তর্জাতিক জলসীমায় তাদের জাহাজ আটক করার ঘটনাকে ‘বেআইনি’ এবং ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জল কামান ব্যবহারসহ আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং অ্যাক্টিভিস্টদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এই হস্তক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের অনেক নাগরিককে আটকের নিন্দাও জানিয়েছে দেশটি। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলি কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া, ইতালি, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের প্রতি আটককৃত নাগরিকদের নিরাপত্তা ও দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভও শুরু হয়েছে।

Link copied!