মার্চ ২৪, ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত সোমবার অভিশংসিত হান ডাক সুকে ভারপ্রাপ প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্বহাল করেছে।
সোমবার, ২৪ মার্চ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, প্রায় তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসনের পর দেশটির সাম্প্রতিক অশান্ত রাজনীতির সর্বশেষ ঘটনা এটি।
এর আগে, হান ডাক সু দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণার কারণে তিনি অভিশংসিত হন। তবে আদালতের সর্বশেষ রায়ের পরপরই হান ডাক সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদে ফিরে পেলেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া হান ডাক সু আদালতের সিদ্ধান্তের পর মন্ত্রিসভার সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক আদালতের বিজ্ঞ সিদ্ধান্তের জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তবে তিনি বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত। যে কোনো কিছু বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করব। ভূ-রাজনৈতিক রূপান্তরের যুগে দক্ষিণ কোরিয়া যেন আরও ভালো করতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
প্রসঙ্গত, ইউন সুক ইওল সামরিক আইন ঘোষণা করার পর এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। কারণ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিশংসন, পদত্যাগ ও ফৌজদারি অভিযোগে নেতৃত্বে শূন্যতা তৈরি হয়।
হান ডাক সু প্রাথমিকভাবে এই পদে দুই সপ্তাহেরও কম সময় বসতে পেরেছিলেন। কারণ তখন বিরোধী নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টে সাংবিধানিক আদালতে আরও তিন বিচারপতি নিয়োগ দিতে অস্বীকার করার পর গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তাকে অভিশংসিত ও বরখাস্ত করা হয়।
সোমবার আদালতের বিচারকরা হান ডাক সুকের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আট বিচারপতির মধ্যে পাঁচজন বলেছেন, অভিশংসন প্রস্তাবটি বৈধ হলেও হানকে অভিশংসনের পক্ষে যথেষ্ট ভিত্তি নেই। কারণ তিনি সংবিধান বা আইন লঙ্ঘন করেননি।
তবে দুই বিচারপতি রায় দিয়েছেন, হান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুরু থেকেই অবৈধ ছিলেন, কারণ পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতা এটি পাস করেননি।