ইরাকে ইরানপন্থি বাহিনীর ওপর মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইরানপন্থিরা মার্কিন সেনাদের ওপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, ‘এই প্রত্যাঘাত জরুরি ছিল। কারণ, ইরানের মদতপুষ্ট বাহিনী এর আগে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা করে। একজন মার্কিন সেনার অবস্থা সংকটজনক। আরো দুজন আহত হয়েছেন।’
সাবেক টুইটার ও বর্তমানে এক্সে অস্টিন লিখেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে ইরাকে কাতাইব হিজবুল্লাহ ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলোর ওপর তিন জায়গায় আক্রমণ করা হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর একাধিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রত্যাঘাত করা হয়েছে।’
অস্টিন বলেছেন, ‘মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে ইরানের মদতপুষ্ট বাহিনীর আক্রমণে আহত মার্কিন সেনাদের জন্য তিনি প্রার্থনা করছেন।’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘অ্য়ামেরিকাকে রক্ষা করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাইডেন দ্বিধা করবেন না। আমি এও স্পষ্ট করতে চাই, বাইডেন ও আমি অ্যামেরিকা, অ্যামেরিকার মানুষ ও সেনাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নেব।’ অস্টিন বলেছেন, ‘ওই অঞ্চলে আমরা বিরোধ বাড়াতে চাই না। কিন্তু আমাদের মানুষ ও নাগরিকদের স্বার্থে, আমাদের তৈরি করা ব্যবস্থা রক্ষার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতেও আমরা দ্বিধা করব না।’
কাতাইব হিজবুল্লাহ ২০০৭ সালে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাহায্যে একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী তৈরি করে। ২০০৯ সালে অ্যামেরিকা তাদের বিদেশি জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করে।
গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর ইরাকে অ্যামেরিকার সেনার ওপর আক্রমণের সংখ্যাও বেড়েছে। ইরাকে আড়াই হাজার ও সিরিয়ায় ৯০০ মার্কিন সেনা আছে।