আদালতে হাজিরা দিয়ে যা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে ২৯, ২০২২, ০৫:০৬ এএম

আদালতে হাজিরা দিয়ে যা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের মামলায়  আসামি হিসেবে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেকে ‘মজনু’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সাড়ে ১২ বছর কোনো বেতন-ভাতা নেননি বলেও তিনি দাবি করেন।পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী আদালতে বলেন, “আল্লাহ আমাকে এই দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি আসলে একেবারে ‘মজনু’, আমি আমার আইনগত অধিকার নেইনি, আমি বেতন-ভাতাও নেইনি।” সরকারি গাড়ির জ্বালানি নিজের পকেট থেকে দিয়েছেন বলেও আদালতকে তিনি অবহিত করেন।  

বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্তের কারণে আমার পরিবার দুই বিলিয়ন রুপি হারিয়েছে। আমার ছেলের ইথানল উৎপাদন কারখানা স্থাপন হয়ে গেছে। এমন সময়ও আমি ইথানলে করারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তের জন্যও আমার পরিবার বছরে ৮০০ মিলিয়ন রুপি হারিয়েছে।’

২০২০ সালে শাহবাজ শরিফ এবং তার দুই ছেলে হামজা ও সুলেমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন ও অর্থ পাচার আইনে মামলা করা হয়। পাকিস্তানি তদন্ত সংস্থা-ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) শাহবাজ পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৮টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিস পায়। ওই অ্যাকাউন্টগুলো দিয়ে সাত কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ এফআই ‘র। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বাবার সঙ্গে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী  হামজা শাহবাজও আদালতে হাজির হন।

গত সপ্তাহে শুনানির সময় পাকিস্তানের বিশেষ আদালতের বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান ২৮ মে (আজ শনিবার) পর্যন্ত জামিন বাড়িয়ে দেন। পরে বিচারক এফআইএ’র আইনজীবী ফারুক বাজওয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘শাহবাজ শরিফের ছেলে সুলেমান শাহবাজ ও অন্যদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দেওয়া তথ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ভোটে ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ।  দেশটির পার্লামেন্টের ১৭৪ সদস্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে ভোট দেন। শাহবাজ শরিফ প্রথমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯৭ সালে, যখন তার ভাই নওয়াজ শরিফ দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয় ও ২০১৩ সালে তৃতীয়বার পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। বর্তমানে তাঁর ছেলে হামজা শাহবাজ প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

Link copied!