আফগানিস্তানের মিত্র চীন ঘোষণাদিয়ে জানিয়েছে, তারা সদ্য ক্ষমতা দখল করা তালেবান সরকারকে অন্তত ৩১ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের জরুরি সহায়তা দেবে। জরুরি সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনও রয়েছে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আফগানিস্তানে জরুরি সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেন।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। চীন ইতোমধ্যে এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে।
পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।
ওয়াং ই বলেন, জরুরি সহায়তার মধ্যে থাকবে খাদ্যশস্য, শীতকালীন সরবরাহ, ওষুধ ও করোনা টিকার তিন মিলিয়ন ডোজ।
সম্প্রতি তালেবান ঘোষণা করে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে চীন তাদের ‘প্রধান অংশীদার’ হবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের স্থলসীমান্ত রয়েছে। ক্ষমতা দখলের আগেই তালেবানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চীন সফর করে আসেন। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, তালেবান ক্ষমতায় গেলে চীন থেকে সমর্থন পেতে পারে।
এদিন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক ও স্বাস্থ্য বিষয় ছাড়াও চীন আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ দমন ও মাদক নির্মূল সহ আরও অনেক বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে। এখন তালেবানের উচিত হবে সকল ‘চরমপন্থী গ্রুপের’ সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তাদের প্রতিহত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বহু দেশ তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে ‘অপেক্ষা করো এবং দেখ’ নীতি গ্রহণ করলেও চীন ঘোষণা দেয় যে, তারা তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তুত।
সূত্র: আল জাজিরা।