সার্ক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে পাকিস্তানের যাবতীয় উদ্যোগ বিফলে যেতে বসেছে। কারণ সার্কের অন্যতম সদস্য দেশ ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা সম্মেলনে অংশ নেবে না।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, যে যে কারণে এই আঞ্চলিক জোটের শীর্ষ সম্মেলন বন্ধ রয়েছে তার কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। তাই শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে ঐকমত্যও নেই।
সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বন্ধ রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে। সে বছর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উরিতে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের প্রতিবাদে ভারত সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের পর পাকিস্তান নয়া উদ্যমে সম্মেলন করতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি সম্প্রতি সেই আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেছেন, অসুবিধা থাকলে ভারত ওই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিতে পারে
কোরেশির প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে পাঠানো হয়েছে কি না এবং এ সম্পর্কে ভারতের মনোভাব কী, তা জানতে চাওয়া হলে অরিন্দম বাগচি বলেন, গণমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত খবর ভারতের নজরে এসেছে। যে যে কারণে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে, তা এখনো অপরিবর্তিত আছে। কাজেই শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে ঐকমত্য নেই।
সার্কের সনদ অনুযায়ী, সদস্যদেশগুলোর সবাই একমত না হলে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।
সম্মেলন না হওয়ার জন্য শাহ মাহমুদ কোরেশি ভারতের ‘একগুঁয়েমি মনোভাবকে’ দায়ী করেছিলেন। সার্ককে ‘অকার্যকর’ করে তোলার দায়ও পুরোপুরি ভারতের ওপর চাপিয়েছিলেন তিনি।
ভারতের দিক থেকে সার্কের সম্মেলনে যোগদানে রাজি হওয়ার অন্য অসুবিধাও রয়েছে। এই আঞ্চলিক জোটের অন্যতম সদস্য আফগানিস্তান। কিন্তু তালেবানশাসিত আফগানিস্তানকে ভারত এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।