ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের আধিপত্য বিস্তার রুখতে একজোট হয়েছে ইসরায়েল, গ্রিস, সাইপ্রাস ও ফ্রান্স। এরই অংশ হিসেবে নিজেদের সামরিক শক্তির জানান দিতে দেশগুলো যৌথ মহড়া চালিয়েছে। আর যৌথ মহড়া নিয়ে গোটা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে শুরু হয়েছে নতুন করে অস্থিরতা।
মহড়ায় অংশ নেওয়া দেশগুলোর সাফাই গেয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আঙ্কারার উসকানির কারণেই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তুরস্কের স্পষ্ট জবাব, জঙ্গিবাদ ছড়াতেই আঙ্কারাকে ঘায়েল করতে উঠে পড়ে লেগেছে ইহুদিবাদী ও তাদের সমর্থকরা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আঙ্কারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য ইসরায়েল ও ইউরোপের ওই তিন দেশ মহড়া চালায়। মূলত ভূমধ্যসাগরের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়েছে এ জোট। যাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। তেল আবিবের সেনবাহিনী জানায়, তিন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে মহড়া দেয়া হয়েছে, যা আগামীতেও চলবে।
ভূমধ্যসাগরকে কেন্দ্র করে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের সঙ্গে। এ মহড়ায় যুদ্ধকালীন সাবমেরিন মোকাবিলা, সমুদ্রে অন্বেষণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলে। মহড়াটিতে অংশ নেয় দেশগুলোর যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টার। এ ছাড়া দেশগুলোর সাবমেরিনও দেখা যায় এতে। গত বছরের শেষ দিকেই তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে তুরস্কের। পাশাপাশি তুরস্কের বিতর্কিত দ্বীপ নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। যখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনার পারদ চরমে ঠিক সেই সময়ে এসে আগুনে ঘি ঢালছে ইসরায়েল।
মহড়ার মধ্যেই গ্রিসের উপকূলীয় অঞ্চলে একটি প্রমোদতরীতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেলেও ৫১ জন ক্রুর সবাই সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
উসকানির অভিযোগ তুলে তুরস্ককে সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আঙ্কারার আচরণের কারণেই ওই অঞ্চলের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর আঙ্কারা বলছে, গ্রিস ফেতুল্লাহ গুলেনের আদর্শ ও তার সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে সার্বিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।