জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০২:৩৫ পিএম
বিগত ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারে মতো জনসংখ্যা কমেছে চীনে। এ বিষয়ে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। সেখানে দেখা গেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি।
বেইজিংয়ের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস) আজ জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কম।
এনবিএসের তথ্যমতে, গত বছর চীনে ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার জনের।
এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা সতর্ক করে বলছেন, এমন পরিস্থিতি চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা সরকারি কোষাগারের ওপরও চাপ তৈরি করবে।
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দীর্ঘমেয়াদে ২০৫০ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা অন্তত ১০ কোটি ৯০ লাখ কমবে, যা ২০১৯ সালে অনুমিত সংখ্যার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। সেক্ষেত্রে ভারতই তখন বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশের স্থান দখল করবে।
দেশটির জনসংখ্যাবিদদের আশঙ্কা, যদি জনসংখ্যা হ্রাসের এ ধারা অব্যাহত থাকে তবে চীন উন্নত-ধনী দেশ হওয়ার আগেই দেশটির জনসংখ্যা বুড়িয়ে যাবে। একই কারণে দেশটির রাজস্ব আয় কমে যাবে, বাড়বে সামাজিককল্যাণ এবং স্বাস্থ্য ব্যয়।
নারীদের তিন সন্তান নেয়ার অনুমোদন দিয়ে আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে গত বছর। কিন্তু তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। নাগরিকদের ওপর এই আইন যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারেনি। তারা সন্তান নিতে উৎসাহ পাচ্ছেন না।
কেউ কেউ বলছেন, আইনটি একটু বিলম্বেই প্রণয়ন করা হয়েছে। আর সন্তান নেয়ার জন্য তাদের কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা ও লিঙ্গ সমতাও যথেষ্ট না।