এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার যৌথভাবে ভাগাভাগি করেছেন দুই দেশের সাংবাদিক। তারা হলেন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার দিমিত্রি মোরাতোভ। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) নোবেল কমিটি এই ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিপাইনের নাগরিক মারিয়া তেসা বাকস্বাধীনতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতা ও নিজ দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। সেই কাজকে আরো এগিয়ে নিতে ২০১২ সালে তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি র্যাপলারের প্রতিষ্ঠা করেন। এখনও তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিক ও র্যাপলারের প্রধান হিসেবে বাকস্বাধীনতার অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এদিকে, গত কয়েক দশক ধরে রাশিয়ায় বাকস্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করছেন সাংবাদিক দিমিত্রি মোরাতভ। দেশটিতে মত প্রকাশে ব্যাপক প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকলেও থেমে থাকেননি তিনি। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ‘নোভাজা গ্যাজেটা’র একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংবাদমাধ্যমটির প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ১৯৯৫ সাল থেকে। সেই হিসেবে প্রায় ২৪ বছর ধরে তিনি পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমানে রাশিয়ায় সবচেয়ে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নোভাজা গ্যাজেটা। ক্ষমতার বিরুদ্ধে সমালোচনামুখর পত্রিকাটি ঘটনাভিত্তিক সাংবাদিকতা ও পেশাগত সততার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এবার সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন তিউনিশিয়ার আবদুল রাজাক গুরনাগ। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সুইডিশ একডেমি নোবেলজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে।
জানজিবারে জন্ম নেওয়া আবদুল রাজাক গুরনাহ ইংল্যান্ডে সাহিত্য চর্চা করছেন। সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলছে, ঔপনিবেশিকতার প্রভাব নিয়ে তার আপসহীন ও সহানুভূতিশীল লেখনির জন্য তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংস্কৃতি ও মহাদেশগুলোর শরণার্থীদের ভাগ্য নিয়েও লিখেছেন এই সাহিত্যিক।
১৯৪৮ সালে গুরনাহ জন্মগ্রহণ করেন। ভারত মহাসাগরের জানজিবার দ্বীপে তিনি বেড়ে ওঠেন। কিন্তু ১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে আসেন শরণার্থী হয়ে।
এছাড়া রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জার্মান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট ও মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড ডব্লিউ সি ম্যাকমিলান। রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জার্মান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট ও মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড ডব্লিউ সি ম্যাকমিলান।