ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম
উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক স্থানে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে তুষারঝড়ে বিদুৎহীন হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। উত্তরের প্রতিবেশী কানাডায়ও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই আবহাওয়ার।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার (এনডাব্লিউএস) বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ইউএসএটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূবাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের মাউন্ট ওয়াশিংটনে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ‘মাইনাস ৭৭‘(-৭৭) ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে,যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও কানাডায় ১০ কোটি মানুষ এমন বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বাস করছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, সুরক্ষা ছাড়া খোলা জায়গায় থাকলে ১০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ‘ফ্রস্টবাইট’ হতে পারে। তীব্র শীতে মানুষের ত্বক, নাক ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কোষ অসাড় হয়ে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হওয়াকে ফ্রস্টবাইট বলা হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষ গতকাল শনিবার পর্যন্ত সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেয়। তারা বলেছে, তুষারপাতের ফলে এমন পরিস্থিতি ‘এক প্রজন্মে একবারই’ হয়।
নিউ ইংল্যান্ড অঞ্চল, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলেও তীব্র তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরিই পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রিক স্নাইডার জনসাধারণকে রাস্তায় না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তীব্র ঠাণ্ডার এই প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্য, কানাডার কুইবেকসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ১৯৮০ সালের পর থেকে শীতলতম বাতাস প্রবাহিত হবে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এলাকায় আরও তীব্র তুষারপাতের আভাস দিয়েছে কানাডার পরিবেশ ও জরবায়ু পরিবর্তন অধিদপ্তর।
কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় নিউ ব্রাঞ্চউইক এলাকায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ‘মাইনাস ৩৫’ (-৩৫) ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার এটি আরও কমে হয় ‘মাইনাস ৪৫’ (-৪৫) ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশটির অন্টারিও, কুইবেক ও মধ্য কানাডায়ও প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহ চলছে।