যুদ্ধ শেষ করা নিয়ে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের মতামতকে ১৯৩৮ সালে নাৎসি জার্মানির মনোভাবের সঙ্গে তুলনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হেনরি কিসিঞ্জারের মতামতের জবাবে জেলেনস্কি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ান রাষ্ট্র যাই করুক না কেন, এমন কেউ আছেন যিনি বলেন, 'আসুন এর স্বার্থ বিবেচনা করা যাক।' এ বছর আবারও শোনা গেল দাভোসে। হাজার হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে আঘাত করার পরও। হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার পরও। বুচা কিংবা মারিউপোলের পরিস্থিতির পরও। বিভিন্ন শহর ধ্বংস হওয়ার পরও।“
ইউক্রেনিয় প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “রাশিয়া ইউরোপে এই সব করেছে। কিন্তু তারপরও, দাভোসে, গভীর অতীত থেকে উঠে এসে কিসিঞ্জার বলেছেন, ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।” এসময় কিসিঞ্জারের মতামতকে ১৯৩৮ সালে নাৎসি জার্মানির মনোভাবের সঙ্গে তুলনা করেন জেলেনস্কি।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সম্মেলনে হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, “যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেনের উচিত হবে নিজেদের ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়া। ইউক্রেনে রাশিয়ার জন্য বিব্রতকর পরাজয় না চাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। এটি করতে না পারা গেলে ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অবনতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেন কিসিঞ্জার।
বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। হেনরি কিসিঞ্জার আরও বলেন,“ ইউক্রেনের অধিকাংশ মানুষই চার মাসে প্রবেশ করা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ইউরোপের প্রতি রাশিয়ার গুরুত্বের কথা মনে রাখা উচিত এবং ‘মুহুর্তের মোহে’ ভেসে যাওয়া উচিত নয়। এ সময় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘পূর্বতন স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস ক্যু)’ আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান কিসিঞ্জার।