দীর্ঘ ভোগান্তির পর মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি মিললো সাংবাদিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২৬, ২০২৩, ০৫:১৯ পিএম

দীর্ঘ ভোগান্তির পর মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি মিললো সাংবাদিকের

প্রতিবেশির বাড়ি থেকে অর্থ লুটের অভিযোগে হওয়া মামলা থেকে দীর্ঘ আড়াই বছর পর মুক্তি মিললো ঢাকায় কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মিজান রহমানের। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের এক গ্ৰামে এই মিথ্যা অভিযোগের শিকার হন তিনি।

গত মঙ্গলবার (২৩ মে) তাঁকেসহ বাকি ১৫ আসামিকে খালাস দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল মাহমুদের আদালত।

মামলা থেকে খালাস পেয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, বাদীর দাবিকৃত ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সময় ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকা কারওয়ানবাজারে এনটিভি‌ অফিসে নাইট শিফটে ডিউটিরত ছিলেন। এনটিভির সেদিনকার কর্মীদের হাজিরা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপের সময়সূচি অনুযায়ী তিনি অফিসে আসেন রাত সাড়ে ১১টায় আর অফিস শেষে বের হন পরদিন সকাল ৮টা ৫৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে। অন্যদিকে মামলার এজাহারে‌ টাকা লুটের ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে একই তারিখ রাত একটা থেকে দেড়টার দিকে।

এনটিভির এই সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আরও জানান, ২০২০ সালের অক্টোবরে তাঁর পিতার মৃত্যুর পর জোর করে বসতবাড়ি ও জমিজমা দখলে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের ডোখলপাড়ার মুনসুর রহমানের স্ত্রী সায়েরা বানু‌। এজাহারে আসামির বিরুদ্ধে বাদীর বাড়ি থেকে জোর করে ৪ লাখ ৯ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ আনা হয়।

আদালতে দাখিল করা বিভিন্ন নথিপত্র ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক পর্যালোচনা করে মামলাটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে সব আসামিদের খালাস দিয়ে রায় দেন।

মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে বাদীকে জেলে প্রেরণের কথা বললেও নারী হিসেবে ক্ষমা করে দেন আদালত।

উল্লেখ্য, মামলার বাদী সায়েরা বানুর স্বামী মুনসুর রহমান এই সাংবাদিকের ছোট ভাইয়ের করা জমিজমা সংক্রান্ত অপর এক প্রতারণা মামলায় আদালত কর্তৃক ছয় মাসের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার দণ্ড পেয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।

Link copied!