আট বছর আগে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার দায়ে দশজনের মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন, মীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ, মো. ইসমাইল হোসেন, ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিশু, শহীদ উল্লাহর ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান ও মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজু ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হাজী আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম, মৌলভী আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লাহ, নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন, ও মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আটজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তবে ফাঁসির আদেশ পাওয়া দশই পলাতক রয়েছেন।
সাজার পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক।
মামলার বিবরণে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলার সরসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের আহসান উল্লাহর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল।
এর জেরে ২০১৬ সালের ১৩ মে সকালে পরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসামিরা হামলা চালিয়ে তাকে চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাছির উদ্দিন ২০১৭ সালের ৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জগঠন করা হয়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনজীবী মোবারক হোসেন বলেন, “আশা করছি, উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে এবং দ্রুত কার্যকর হবে।”