আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের মানসিক চিকিৎসার দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী ফাওজিয়া প্রশ্ন তুলেছেন, “বিচারপতি মানিক মানসিকভাবে অসুস্থ হলে এভাবে কেন ঘুরে বেড়ান? আর টেলিভিশনের টক শোগুলো যারা চালান তারাই বা কেন এমন অসুস্থ মানুষকে অতিথি হিসেবে কেন নিয়ে আসবেন?”
এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ সময় বলেন, “বিচারপতি মানিক মানসিকভাবে অসুস্থ হলে এভাবে কেন ঘুরে বেড়ান? আর টেলিভিশনের টক শোগুলো যারা চালান তারাই বা কেন এমন অসুস্থ মানুষকে অতিথি হিসেবে কেন নিয়ে আসবেন? তাদেরও একটি গাইডলাইন থাকা উচিত, যে কাকে টকশোতে নেয়া যাবে আর কাকে পরিহার করতে হবে। সাংবাদিক ভাইবোনদের কাছেও আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সত্যিটাকে খুঁজে বের করুন, মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “একজন বিচারপতির এমন আচরণ আমরা ক্ষমা করতে পারি না। বিচারপতি থাকাবস্থায় বিভিন্ন সময় বিতর্কিত রায় দিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু বাক্-স্বাধীনতা না থাকায় কেউ কিছু বলতে পারেনি। এখন আমাদের সন্তানরা আমাদের সেই বাক্-স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা এখন ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিবো বলে চিন্তা করেছি।”
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন একটি টক শোর উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যা দেন এই বিচারপতি। অফ-স্ক্রিনে ধারণ করা সেই ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টা নিয়ে সব মহলে আলোচনার জন্ম দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষ থেকে বিচারপতি মানিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
নোটিশে বিচারপতি মানিককে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর কাছেও লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারপতি মানিককে পাঠানো ওই নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে আয়োজিত টক শোতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। কিন্তু আলোচনার একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। পুরো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার উপস্থাপিকার ওপর নিজের ক্ষোভ প্রকাশ ও উচ্চবাচ্য করেন। শুধু তাই নয়, তিনি অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে আখ্যা দেন। সে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যা পরবর্তী দেশের মহলে ব্যাপক আলোচিত হয়।