টিকটকার তরুণীর সঙ্গে প্রেম, বিয়ে, তারপর...!

জাতীয় ডেস্ক

এপ্রিল ১, ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম

টিকটকার তরুণীর সঙ্গে প্রেম, বিয়ে, তারপর...!

ছবি: সংগৃহীত

কারাগারে একের পর এক ফাঁসি কার্যকরে অংশ নিয়ে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন জল্লাদ শাহজাহান। দীর্ঘ বছর কারান্তরীণ থেকে অবশেষে ২০২৩ সালের ২৮ জুন মুক্তি পান তিনি। পরে একটি চায়ের দোকান দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন। এরই মধ্যে একজন টিকটকার তরুণীর সঙ্গে তার প্রেম হয় এবং তা থেকেই বিয়ে। পরে অবশ্য সর্বস্ব হারানোর অভিযোগ করেন জল্লাদ শাহজাহান।

সোমবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘একদিন কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে যাওয়ার পথে সিএনজি অটোরিকশার মধ্যে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাই। ব্যাগে থাকা কাগজপত্র থেকে পাওয়া ফোন নম্বরে কল করে আমি ব্যাগটি নিয়ে যেতে বলি। ব্যাগের মালিক সাথী আক্তার ফাতেমা, তারা যে এত বড় একটা প্রতারক চক্র তা জানতাম না। তাদের চক্রে কয়েকজন নারী ও পুরুষ আছে। তারাই বিয়ের সময় সাক্ষী হয়েছেন ও আমার বিরুদ্ধে করা মামলায়ও সাক্ষী হয়েছেন।’

জল্লাদ শাহজাহান অভিযোগ করে বলেন, ‘সাথী আক্তার ফাতেমার আগেও পাঁচ জায়গায় বিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি বলেন, ব্যাগ নিতে আসার পর মেয়ে ও তার মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। পরে মেয়েটির সঙ্গে আমি বেশ কয়েকবার কথা বলি। এক পর্যায়ে মেয়ে ও তার মা জুরাইন থেকে গোলামবাজার চলে আসে। তার মা আমার বাসায় রান্নার কাজ নেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিচয়ের দেড় মাস পর ২১ ডিসেম্বর পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে আমার বিয়ে হয়। তবে মা-মেয়ে বিয়ের আগেই নানা কৌশলে আমার থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়, আর বিয়ের দিন ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা সই করে আমার গোছানো আরও ১০ লাখ টাকা নেন। বিয়ের প্রায় দুই মাসের মাথায় আমার স্ত্রী নগদ ৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান। আমি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা নেয়নি, পরে জানতে পারি ১৫ ফেব্রুয়ারি সাথী আক্তার ফাতেমা আমার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অপরাধীদের ফাঁসি কার্যকরের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শেখের বেটির (শেখ হাসিনা) কাছে আমার চাওয়া এসবের পুরস্কার হিসেবে আমাকে একটি আবাসন ও জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত যেন চলতে পারি তার জন্য একটি সহজ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন।’

Link copied!