অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে প্রথমবারের মতো এক শিক্ষকের কারাদণ্ড হয়েছেন চাঁদপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
তার পরিচয়- রামগঞ্জের করপাড়া এলাকার আবুল হাসানের ছেলে নাজমুল হাসান (৪০)।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন শাহরাস্তি উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের স্বামী কবির আহম্মেদ। ২০২৩ সালে ৮ মে বিচারক শাহরাস্তি আমলী আদালতে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে মামলা করা হয়।
যার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে উঠছে তিনি সেলিনা পারভীন। তিনি চাঁদপুর আদালত পাড়া এলাকার মৃত মমিনুল ইসলামের মেয়ে। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ জিয়াউল হক জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন তিনি। সেলিনা পারভীনের এক সন্তান থাকা সত্ত্বেও আসামি একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে চাকরির সুবাদে অবৈধ ও অনৈতিক প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি টের পেয়ে সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে সেলিনা পারভীনের স্বামী কবির আহম্মেদ বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রথম ঘটনা ২০২৩ সালের ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে শাহরাস্তির স্বামীর বাড়িতে তাদের অনৈতিক সম্পর্কের কথা মামলার বাদী জানতে পারে। ২০২৩ সালের ৭ মে রোববার দুপুরে চাঁদপুর খাঁন সড়কে ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে।
এসব তথ্যপ্রমাণে আইনত প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনায় বিচারিক সহজাত ক্ষমতা বলে প্রথম আসামি নাজমুল হাসানকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনদিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায় দেওয়ার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী স্বামী কবির আহম্মেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী সেলিনা পারভীন তার প্রতিষ্ঠানের কৃষি শিক্ষার শিক্ষক নাজমুল হাসানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ঘটনার সময় তাদেরকে একসঙ্গে দেখা যায়। আমার স্ত্রী পরিবারের কাউকে কোনো কর্ণপাত করে না। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে নগদ লাখ লাখ টাকা, কয়েক ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়।’
এদিকে আদালতে আনীত অভিযোগকে ‘মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে সেলিনা পারভীন বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওই শিক্ষকের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক।’