জুলাই ১৭, ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৮টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনকে ২ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ঢাদসিক) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে সর্বমোট ২৮০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়।
সোমবার (১৭ জুলাই) কর্পোরেশনের সেগুনবাগিচা, মতিঝিল, পল্টন, চকবাজার, সূত্রাপুর, জুরাইন, দক্ষিণগাঁও, ডেমরা ও শরীফাপাড়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহনেওয়াজ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মতিঝিল এলাকায় ১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়নি।
এছাড়াও দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ১৩ নম্বর পল্টন এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান চকবাজারের খাজে দেওয়ান এলাকার ১ম লেন ও ২য় লেনে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩৮টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এ সময় ১ম লেনে ‘স্টুডিও প্রোপার্টি’ কর্তৃক একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রচুর পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পায়। প্রকল্পটির সুপারভাইজার ফাতেমা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নুর ইসলামের বিরুদ্ধে ২টি মামলায় যথাক্রমে ১ লাখ ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করেন।
এছাড়া আদালত ২য় লেনে আরেকটি ব্যক্তি মালিকানাধীন নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পেয়ে ভবনটির প্রতিনিধি মিরাজুর রহমানকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের সূত্রাপুর এলাকায় ২৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পায়। আদালত এ সময় ভবন ২টির মালিককে সতর্ক করে দেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব জুরাইন এলাকায় ২৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দিপাড়ার দক্ষিণগাঁও এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৫টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫ মামলায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডেমরা এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ীর শরীফাপাড়া এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৫টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫ মামলায় ২৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।