জুন ৬, ২০২৩, ১২:১৪ পিএম
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় তেলাপোকা মারার ওষুধ থেকে বিষক্রিয়া হয়ে স্কুলপড়ুয়া দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ‘বালাইনাশক’ নামে কীটনাশক কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার রাতে বালাইনাশক কোম্পানির কর্মকর্তা টিটু মোল্লাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তিনি ওই বাসায় তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেছিলেন। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহত শিশুদের বাবা মোবারক হোসেন তুষার সোমবার তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন। তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, মোবারক হোসেন (তুষার) ও শারমিন জাহান (লিমা) দম্পতি দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তিন সন্তানের মধ্যে মেয়েটি ছিল মেজ। গত শুক্রবার তেলাপোকার উৎপাত থেকে বাঁচতে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাসায় ডেকে আনলে তাঁরা বাসায় তেলাপোকা মারার ওষুধ স্প্রে করে যান। যাওয়ার সময় ছয় ঘণ্টা যেন বাসায় না ঢোকার ব্যাপারে সতর্ক করে যান। পাশাপাশি পুরো ঘর পরিষ্কার করে ঘুমতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে পরিবারটি তা না করে ছয় ঘণ্টা পর বাইরে থেকে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ছোট ছেলে শাহিল মোবারত ও পরে তার বড় ভাই শায়েন মোবারত অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রবিবার ভোরে দুই ভাইকে গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে শাহিলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে শায়েনও মারা যায়। এই দম্পতির অপর সন্তান মেয়েটি সুস্থ আছে। তবে দুই শিশুর মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেন বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।