শারীরিক স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের জন্য দায়ী নানা কারণ। অলসতা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে অনেক খামখেয়ালিপনার মাশুল গুনতে হয় ওজন বৃদ্ধি ও এর জেরে শরীরে নানা রোগকে বাসা বাঁধতে দেয়ার মাধ্যমে।
এসব কারণের অন্যতম হলো মানসিক চাপ বা হতাশা, বিষণ্নতা, অবসাদ।
মানসিক চাপের ফলে দেহের ওজন বাড়ে কি না, এ প্রশ্নের উত্তর হলো ‘হ্যাঁ’।
কিন্তু কীভাবে?
খাওয়ার সময় পরিবর্তন
স্বাভাবিক অবস্থায় সঠিক সময়ে, নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করলেও উদ্বেগ বা অবসাদে আক্রান্ত হলে, সেই নিয়মে পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। মধ্যরাতে হঠাৎ মিষ্টিজাতীয় কিছু বা ভরপেট খাওয়ার পরও টুকটাক মুখরোচক কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু অবসাদজনিত কারণ থেকে হতে পারে।
‘স্ট্রেস’ হরমোন
রক্তে শর্করার মাত্রা কেমন থাকে, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে শরীরের ‘কর্টিজ়ল’ হরমোনের ভারসাম্য। যার ফলে সারা ক্ষণই খিদের অনুভূতি থাকে। খাওয়ার পরেও মনে হয় কিছু খেলে ভাল হয়। এই অনিয়মিত খাবার খাওয়ার রুটিনে বিপাকহারেও ব্যাপক পরিবর্তন আসে। যার প্রভাবে ওজন বাড়ে।
মেদ জমা
দেহের বিভিন্ন অংশ, যেমন পেটের চারপাশ, কোমরে বা ঊরুতে মেদ জমার পিছনেও দায়ী এই ‘কর্টিজ়ল’ হরমোন। সুতরাং অবসাদগ্রস্ত হয়ে এই হরমোনকে কোনও মতেই বাড়তে দেওয়া যাবে না।