আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু আমাদের স্ব স্ব মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এত বৃহৎ যা রীতিমতো অবাক করার বিষয়। কিন্তু সেই মস্তিষ্কও হতে পারে আরও শার্প, আরও বুদ্ধিদীপ্ত। জানলে নিশ্চয়ই আপনারা অবাক হবেন যে, মস্তিষ্কও ট্রেনিংপ্রাপ্ত হলে সে অনুযায়ী কাজ করে। অনেকটা জাদুকরী কম্পিউটারের মতো।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং স্মরণশক্তি বাড়াতে অবসর সময়ে খেলতে পারেন পাজল গেম বা শিখতে পারেন নতুন ভাষা, নতুন বাদ্যযন্ত্র এবং সাথে কিছু মজার শরীরচর্চা। এছাড়াও অবসর সময়ে যেসব কাজ করতে পারেন চলুন জেনে নেয়া যাক-
পাজল গেম
অবসর সময়ে পাজল গেম খেলা যেমন সুডোকু, ক্রসওয়ার্ড বা ব্রেইন টিজার (মানে সদুপায়ে মস্তিষ্ককে উত্যক্ত করা গেম) খেলতে পারেন। এসব খেলায় সমস্যা সমাধানের যে সুন্দর চ্যালেঞ্জ থাকে সেগুলো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতি ধারনের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
নতুন ভাষা শেখা
গবেষণায় দেখা যায় যে নতুন ভাষা শেখা মস্তিষ্ককে বুস্ট করে। কীভাবে শিখবেন বাংলা, ইংরেজি ছাড়া নতুন ভাষা? এজন্য আছে দারুণ উপায়। যেমন- ভাষা শেখার অ্যাপ ব্যবহার করে বা কোর্স করার মাধ্যমে। কিন্তু যেভাবেই শিখুন না কেন, ভাষা শেখার জন্য মস্তিষ্ককে যে টেকনিক খাটাতে হয়, তা ব্রেইনের সেলগুলোকে অভিনবত্বের সাথে ফাংশন করতে সাহায্য করে।
বাদ্যযন্ত্র শেখা
নতুন যেকোনো কিছু শেখাই সুন্দর কিন্তু নতুন বাদ্যযন্ত্র শেখা শুধু যে মেলোডির তালে তালে মনকে আনন্দিত করে শুধু তা ই নয়। বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখতে মস্তিষ্কের যে ব্যবহার তার ফলে ব্রেইন সেল পুনরুজ্জীবিত হয়। স্মৃতি ক্ষুরধার হয়।
বইপড়া এবং নিজ থেকে কিছু লেখার চেষ্টা করা
নিয়মিত বই পড়া এবং লেখার মতো গুণাবলী মস্তিষ্কের সহায়ক বন্ধু। ফিকশনাল-নন ফিকশনাল বা তথ্যবহুল বই, আপনি অবসর কাটাতে যে বই ই পড়েন না কেন, আপনার শব্দভাণ্ডার করবে বড়। আপনার অনুধাবন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে সাথে স্মৃতি ধারণের ক্ষমতাও বাড়াবে।
শারীরিক ব্যায়াম
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কেও রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে মস্তিষ্ক দ্রুত এবং ভালোভাবে কাজ করে। যেমন দেখা গিয়েছে সাঁতারের ফলে স্মৃতি ধারণের ক্ষমতা বাড়ে। তাছাড়া যোগ ব্যায়ামে বাড়ে শরীর ও মনের সংযোগ।
মননশীলতার চর্চা ও মেডিটেশন
মেডিটেশন করলে ফোকাস ধরে রাখা সহজ। মেডিটেশন বিভ্রান্ত হওয়া থেকে নানা উপায়ে মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। মনোযোগ বাড়ায়, বাড়ে স্মৃতি ধারণের ক্ষমতাও।
কৌশলী খেলা
কৌশলী খেলা যেমন দাবা খেলায় যেমন অবসর সময় টা কেটে যায় ভাল, তেমনি এটি জ্ঞানী হতে এক ধাপ এগিয়ে নেয়,কারণ দাবা খেললে সমস্যা সমাধানে যে কৌশল অবলম্বন করতে হয়, তা ব্রেইনকে হেল্প করে জ্ঞানী এবং সুগঠিত হতে।
সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ
বলা হয় কথোপকথন শিক্ষার সহজ সাধারণ উপায়। কথোপকথনে যুক্ত থাকা অথবা কোনো যুক্তিবিদ্যা দিয়ে বিতর্কে অংশ নেয়া ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে তাছাড়া সামাজিকীকরণেও সহায়তা করে।